অতুল পাল, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) কৌশলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার দিন রাত ১০ টার দিকে ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই কিশোরীর মা ও ফুফুকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে রাতেই দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী দিনমজুর। ঘটনার দিন তার স্বামী কাজের জন্য বাহিরে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে আমি পাশের বাড়িতে যাই। ওই সময় একই গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে হোসেন হাওলাদার (২৮) আমাদের বাড়ির পাশের ক্ষেতে ডাল রোপণ করছিল। বাড়িতে আমরা কেউ না থাকায় হোসেন কৌশলে তার মেয়েকে ডেকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়িতে ফিরে এসে প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে চারদিকে খুঁজতে থাকি। এক পর্যায়ে ওই পরিত্যক্ত ঘরে মেয়ের চিৎকার ও কান্না শুনে এগিয়ে গিয়ে হোসেন ও মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দেই। এসময় হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে আমার বোন আমাদের বাড়িতে আসে। আমি ঘটনার বিচার দাবি করলে ধর্ষক হোসেন, তার বাবা সেলিম হাওলাদার ও ভাই মো. হাসান আমাদের ঘরে এসে আমার স্ত্রী ও বোনকে মারধর করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। ঘটনার পর থেকে হোসেন আত্মগোপণে রয়েছে।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আবদুর রউফ বলেন, ওই কিশোরীর যে সকল স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার সেটা এখানে (বাউফল হাসপাতালে) করা হয় না। তাই তাকে পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীর মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে জানাতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তর বাবা ও ভাইকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রতিবন্ধী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত হোসেন আত্মগোপণে এবং বাবা ও ভাই পুলিশ হেফাজতে থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।