খালিদ হাসান, নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় নায়ক সাইফ আলী খানের ওপর হামলার অভিযোগে আটক শরিফুল ইসলাম শাজ্জাদ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। শরিফুল ইসলাম শাজ্জাদ মোল্লারহাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। তার পিতা রুহুল আমিন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি পদে বর্তমানে নিয়োজিত আছে।
২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে শরিফুল ইসলাম শাজ্জাদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাপে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। পরে অবৈধ পথে ভারত চলে গিয়ে সেখানে তিনি কাজকর্ম করে বাড়িতে সংসার চালাতে টাকা পাঠাতো কিন্তু হঠাৎ তাদের পরিবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারে সে ভারতে সুপারস্টার নায়ক সাইফ আলী খান এর উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে আটক হয়েছে। এতে করে তাদের পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনা শোনার পর মা নাজমা বেগম ঘরে বসে কান্না করেই দিন পার করছে। তার পিতা রুহুল আমিন দিশেহারা হয়ে পরেছে। কিভাবে ছেলেকে উদ্ধার করবে এবং আইনি প্রক্রিয়া চালাবে সেটা নিয়ে বড়ই চিন্তিত। তারা ভারতের কিছুই চিনেনা। তবে তারা মনে করছে শাজ্জাদ ওই ঘটনার সাথে জড়িত নাও থাকতে পারে। সে কোনো চক্রান্তের শিকার হতে পারে। শাজ্জাদ নিজের এলাকায় মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছিলো। আরো দুই ভাইদের মধ্যে শাজ্জাদ মেঝো।
২০১৭ সালেনলছিটি হদুয়া মোল্লারহাট সড়কের স্টিল ব্রিজ নামক স্থানে ভাড়ায় মোটরসাইকেলের চালক রফিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় শরিফুল ইসলাম শাজ্জাদকে আসামি করা হয়েছিলো। তবে পরে আদালতের মাধ্যমে খালাস পেয়েছে বলে জানান শাজ্জাদের পিতা রুহুল আমিন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে তখন আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছিলো।
প্রতিবেশী নাজনিন আক্তার জানান, ছোট বেলা থেকে শাজ্জাদ ভাইকে আমি দেখে আসছি, তিনি কাজ কর্ম করে সংসারের হাল ধরেছিল। তিনি বিএনপির রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত থাকার কারণে বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার হয়েছে।
নলছিটি থানার ওসি আঃ সালাম জানান, শরিফুল ইসলাম শাজ্জাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তদন্তের জন্য আমাদের কাছে কোন কাগজ আসেনি। আমরা নির্দেশনা পেলে তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করব প্রকৃতপক্ষে শরিফুল ইসলাম শাজ্জাদের কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো কিনা।