মমিনুল ইসলাম, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: “ত্রিশালে অবাধে তৈরি হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল পণ্য” শিরোনামে গত ৭ জানুয়ারি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসটিআই যৌথ ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করেন।
বুধবার দুপুরে ত্রিশাল পৌর এলাকায় কথিত সিফাত এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভেজাল পণ্য মজুদ ও মোবাইল কোর্টে অসহযোগিতা করার জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় অভিযানের খবর পেয়ে কথিত সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার হোসেন শামীম ভিতরে থেকে অন্যলোক দিয়ে গোডাউনের বাহিরে তালাবন্ধ করে রাখেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসটিআইয়ের লোকজন দরজায় বার বার নক করেও কোন সারা না মিলায় ভিতরে লোকের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ভিতরে প্রবেশ করার পর আনোয়ার হোসেন শামীম ও তার স্ত্রীকে পাওয়া যায়। তার গোডাউনে বিপুল পরিমান ভেজাল ম্যাংগো জুস, বাচ্চাদের আইস ললির উপস্থিতি পায়। এগুলোর স্যাম্পল পরীক্ষা করার জন্য বিএসটিআই কর্মকর্তা নিয়ে যায়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার শাওন কুমার ধর আবীর, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) রাইসুল ইসলাম ও ত্রিশাল থানা পুলিশের সদস্য।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিএসটিআইকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় দরজা বন্ধ রেখে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে অসহযোগিতা করার জন্য বিএসটিআই পরিদর্শক অভিযোগ দাখিল করে। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সিফাত এন্টাপ্রাইজকে বিএসটিআই আইন, ২০১৮ এর ৩০ ধারায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।