গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দুই যুবকের ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাও ইউনিয়নের সিংদই কোনাপাড়া গ্রামে। অভিযুক্তরা হলেন পাশের সিংদই গ্রামের মোঃ রতনের ছেলে পারভেজ মিয়া (৩২) ও কামালের ছেলে শবি মিয়া (২৫)।
জানা গেছে, ওই ছাত্রীর চাচাতো বোনের বিয়ে দেয়া হয়েছে ওই গ্রামে। সেখানে বেড়াতে গেলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে দুই যুবক। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই যুবকের মধ্যে একজন গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওই যুবককে বিয়ে করতে চাপ দেয়। তবে প্রায় পাঁচ মাস চলে গেলেও বিয়ে করেনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রীর বাবা শালিসের দ্বারস্থ হন।
গত বুধবার রাতে বিষয়টি নিয়ে শালিস হয় নান্দাইল-জাহাঙ্গীরপুর সড়কের সিংদই কলেজ গেট এলাকায়। শালিসের আয়োজন করেন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত দুই যুবকের পক্ষের লোকজন। স্কুলছাত্রীর পক্ষে তার বাবা ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। শালিসের সিদ্ধান্ত হয় বাড়ি ছাড়ার পাশাপাশি গর্ভপাত করবে এমন শর্তে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়া হবে ভুক্তভোগী পরিবারকে। তিন দিন আগে এই সিদ্ধান্তের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন তার দিনমজুর বাবা।
অভিযুক্ত শবি মিয়ার বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে শবির মা রেণু আক্তার বলেন, ‘এইডা তো শেষ অইছে। অহনতে আপনারা কেলা?’
অন্যদিকে প্রধান অভিযুক্ত পারভেজকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বাবা রতন মিয়া বলেন, ‘আমার ছেড়া তো দুই মাস ধইরা বাড়িতেই নাই। এইডা মিছা প্রচার।’
জানতে চাইলে শালিসের আয়োজক সাবেক চেয়ারম্যান হাসিম উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করেন।
নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তবে এখন একজন অফিসারকে ওই এলাকায় পাঠানো হবে।