অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে চর দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জসিম আহমেদ তুহিনকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. মুজাহিদুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন জেলা ছাত্রদল।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী ও সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদের কাছে লিখিত ও মৌখিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুজাহিদ। তিনি বলেন, কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তুহিনের নেতৃত্বে কালাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি, দলের নিবেদিত প্রাণ শাহবাজ জয় এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার হোসেন রিয়াজ পঞ্চায়েতসহ ৬জনকে কুপিয়ে জখম করে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয় বিএনপি নেতা তুহিন। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানায় এবং তার (বিএনপি নেতা তুহিন) ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন আমি পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাকে (বিএনপি নেতা তুহিন) পুলিশের হাতে তুলে দেই। আমি তাকে মারধর করিনি। বিএনপির সিনিয়র নেতা হিসেবে তাকে আমি রক্ষা করেছি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ জানান, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ও ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, জমি দখল সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাকে প্রকাশ্য রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে মারধর করেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম। এ ধরনের কর্মকান্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাকে ২৪ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।