আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শেষ সীমানায় কামালপুর বাজার সংলগ্ন চন্দ্রাবর্তী নদীর উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) আওতাধীন পারখিদিরপুর কামালপুর সড়কটি ব্যস্ততম একটি সড়ক। এ সড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক, যাত্রী, পথচারীসহ এলাকার প্রায় হাজার হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বর্তমানে ব্রিজের মাঝে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে করে দিনে-রাতে হরহামেশাই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। উপজেলার ব্যস্ততম এই সড়কের ব্রিজগুলো দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে গেলেও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পারখিদিরপুর-কামালপুর, ধানবিল, দয়রামপুর, বামনগ্রাম, কাঠালবাড়ী, হোগলবাড়ী খৈরাস, ভরতপুর, রাঘবপুর, মথুরানগর, সোনাকান্দরসহ ১৫-২০ টি গ্রামের মানুষের এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন প্রায় বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ তাদের প্রয়োজনীয় কাজে বিশেষ করে আটঘরিয়া, চাটমোহর উপজেলার মানুষ যাতায়াতের জন্য এ সড়ক ও ব্রিজ ব্যবহার করে আসছে।
এছাড়া কামালপুর বাজারসহ শিক্ষক/ শিক্ষার্থীদের এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের পাঠাতন ভেঙে যাওয়ায় অতি ঝূঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই যানচলাচল করতে হচ্ছে তাদের। কারণ ব্রিজের মাঝে ডালাই ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্যবসায়ী খালেক, আব্দুল কাদের, আলম সরকার বলেন, এই এলাকা কৃষি প্রধান। ব্রিজের মাঝখানে প্রায় এক বছর যাবত ভেঙে গেছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেত খামারের কৃষি ফসল আনা নেয়া করি। উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি দ্রুত ব্রিজ যেন মেরামত করে দেয়।
অটোবোরাক ওমেদ আলী বলেন, প্রতিদিন ভাঙা ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা, অটোবাইক, মোটরসাইকেল, ছোট বড় ট্রাক, যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল করে। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা গুরুত্বর আহত হয়। গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। আমরা দ্রুত প্রশাসনের কাছে ব্রিজ দেখে মেরামত করার জোর দাবি করছি।
সাবেক মেম্বার কামালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি বারেক বলেন, ব্রিজের মাঝখানের অংশ ধ্বসে পড়ায় পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও মালামাল পরিবহন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই সড়কের ব্রিজ দ্রুত সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।