ঢাকা
১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১০:২১
logo
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

শীতের আগমনে খাগড়াছড়িতে পিঠা বিক্রির ধুম

আরিফুল ইসলাম মহিন: তিনটি চুলা, তাতে তিনটি চিতই পিঠা তৈরির পাতিল বসানো হয়েছে আর একটি চুলাতে বসিয়েছেন তেলের পিঠা তৈরির পাতিল, সাথে ভিজানো পিঠাও আছে, পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম। সেই পিঠার জন্য চুলার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েক ক্রেতা। ধোঁয়া ওঠা গরম-গরম পিঠা চুলা থেকে নামতেই যাচ্ছে ক্রেতাদের হাতে। কেউ খাচ্ছেন, কেউ কেউ প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছেন বাসাবাড়ির জন্য।

পৌষের শীতের সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায় মোস্তফার চিতই পিঠার দোকানের চিত্র এটি। মোস্তাফার মতো অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান রয়েছে শহরের আনাচকানাচে। সন্ধ্যা হলে প্রতিটি দোকানেই পড়ে পিঠা বিক্রির ধুম।

দিন দিন বাড়ছে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান। বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে চান অনেকেই। তবে শীতের পিঠার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কেউ। এ কারণে খাগড়াছড়ি শহরের , খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, বাজার,মধুপুর, ভাঙ্গা ব্রীজ, বটতলী, মোল্লাপাড়া, চেঙ্গী স্কোয়ার সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়

মৌসুমি পিঠাপুলির দোকানে ভিড় লেগেই থাকছে। এসব দোকানে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে।

দোকানি মোস্তফা বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ২০-২৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন। ১৫ বছর ধরে শীত মৌসুমে এ ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তাঁর বানানো পিঠা কিনতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। আগে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আয় হতো তাঁর। এখন সব জিনিসের দাম বাড়াতে পিঠা তৈরির খরচ বেড়েছে। সব খরচ বাদে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা লাভ থাকছে তাঁর।

সপ্তাহ ধরে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যার আগ থেকেই দোকানিরা তাঁদের পিঠার পসরা বসাচ্ছেন সড়ক কিংবা বাড়ির পাশের গলিতে। চুলায় আগুন জ্বেলে একের পর এক পিঠা বানাতে থাকেন তাঁরা। অন্যদিকে ক্রেতারা গরম-গরম পিঠা সাবাড় করতে থাকেন। এসব দোকানে ১০ টাকায় চিতই পিঠা, ২৫ টাকায় ডিম চিতই, ১০ টাকায় ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। চিতই পিঠার সঙ্গে সহজে ধনেপাতা, মরিচবাটা, শুঁটকির ভর্তা বিনা মূল্যে মেলে।

বাজার এলাকার পিঠা বিক্রেতা মাসুদুর রহমান  বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি চালের চিতই পিঠা বিক্রি করেন তিনি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার চাহিদাও বাড়ছে। দুধ চিতই বানাতে এলাকার মানুষ প্রতিদিন আসছেন, পিঠার অর্ডার করে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ চুলার আগুনের পাশে বসেই দু-চারটি করে পিঠা খেয়ে যাচ্ছেন।

পিঠার ক্রেতারা বলেন, শীত বাড়লে পিঠা না খেলে চলে না। বাড়িতে শীতের পিঠা বানাতে চাল গুঁড়া করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই শীতের পিঠার স্বাদ নিতে ভাসমান দোকানগুলোর ওপর ভরসা করে থাকেন তাঁরা।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram