পার্বতীপুর, (দিনাজপুর) থেকে এম এ জলিল সরকারঃ পাবীতীপুর রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগের অবহেলায় পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং কৃষি লীজ প্রদানে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ তুলে ধরেন ভূক্তভোগী মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় পার্বতীপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন। মাহফুজুল
ইসলাম চৌধুরী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন রেলওয়ের ১৯৯৭ সালে মধ্যপাড়া পাথর খনি সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরীর পৈত্রিক ৩.২১ একর সম্পত্তি অধিকরণ করে রেল কর্তৃপক্ষ ও সম্পত্তি ওপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপন করে। রেল লাইনের দুই পাশে পূর্ব হোসেনপুর মৌজার ১.৬৭ একর পতিত জমি পড়ে থাকে। মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী জীবিকার তাগিদে উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে চাষাবাদ করে আসছিল। গত ২২ নভেম্বর ২২ তারিখে প্রভাবশালী ব্যক্তি লীজ বাতিলের জন্য রেলওয়ে পাকশী ডিভিশনের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তির নিকট আবেদন করলেও কর্ণপাত করেননি ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। জনৈক প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে লীজ প্রদান করেন।মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন আমাকে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি ও করেছে এবং রেলভূমি ছেড়ে দিতে প্রাণ নাশকের হুমকি-ধমকী দিয়ে থাকে প্রভাবশালী ব্যাক্তি। বিগত সময় প্রভাবশালী মহলের ভয়ে কোথাও কোন অভিযোগ তুলে ধরতে পারিনি। রেল বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টার দৃষ্টি
আর্কষন ও বিষয়টি নিস্পত্তির আহবান জানান মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী। কর্তৃপক্ষ তদন্ত না করে মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরীর বিষয়টি বিবেচনা না রেখে স্বজন প্রীতি না করে প্রভাবশালী ব্যক্তির নামে লীজ করে।
উল্লেখ্য যে মধ্যপাড়া পথার খনির সাথে রেললাইন স্থাপনের পর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেললাইন দু-পাশে পতিত জমি জমা ও লীজ সংক্রান্ত বিবাদ লেগেই থাকে। ফিল্ড কানুনগো ও রেলওয়ে পাকশী ডিভিশনের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ করলেই নিরসন সহজে হবে।