লন্ডনে পৌঁছে বিকেল পাঁচটায় বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা এয়ারবাস-সহ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের সাথে বৈঠক করেন তিনি। এ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এক ঘণ্টার বেশি আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সরকারের ১০ মাসের অর্জনের বিষয়টি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ এসেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে। পারস্পরিক নানান বিষয় নিয়ে এক ঘণ্টার বেশি আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে গ্রুপটির সাথে।
এরপর ড. ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে দেখা করতে আসেন কমনওয়েলথের সেক্রেটা্রি জেনারেল শার্লি বোচওয়ে। তাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে কথা হয়।
আগামী ১২ জুন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে, লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ ‘দ্যা কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিবেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
এরপর ১৩ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথেও বৈঠকের কথা রয়েছে ড. ইউনূসের; তার সঙ্গে নির্বাচনসহ চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার আভাস পাওয়া গেছে।
সফরে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব, সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং যুক্তরাজ্যের নীতি ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। আলোচনা হবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়ের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ শনাক্ত ও পুনরুদ্ধারের বিষয়েও।
এর আগে, সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এসময় তাকে অভ্যর্থনা জানান লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার। সকল কার্যক্রম শেষে আগামী ১৪ জুন দেশে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।