ঢাকা
১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১১:৪২
logo
প্রকাশিত : মে ১১, ২০২৫

বিশ্ব মা দিবস আজ

এই পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম ‘মা’। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারা বিশ্বে দিনটি ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই হিসাবে আজ ‘বিশ্ব মা দিবস’।

কবির ভাষায়- ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই/মায়ের চেয়ে নাম যে মধুর, ত্রিভুবনে নাই।’ কালে কালে একটি কথাই চিরায়ত সত্যিতে পরিণত হয়েছে আর সেটি হচ্ছে- পৃথিবীতে সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপন, সবচেয়ে প্রিয় যে শব্দ বা সম্পর্ক পরিচিতি পেয়েছে, তা হল ‘মা’।

যদিও অনেকেই বলে থাকেন যে, মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আলাদা করে কোন দিন বা দিবসের আসলে প্রয়োজন নেই, প্রতিটি দিনই মায়ের দিন। তবুও সারা বিশ্বের কোনায় কোনায় মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সকল মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করে তাদের সন্তানরা।

দিবসটি এমন একটি বিশেষ দিন, যে দিন সব মায়েদের এবং যারা মায়েদের মতো, তাদেরকে পরিবার থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত সকল স্তরে সম্মান জানানো হয়।

কেননা সন্তান ও মায়ের যে সম্পর্ক, এতো দৃঢ় আর কোনও সম্পর্ক এই পৃথিবীতে নেই। দিবসটি উপলক্ষে আমাদের দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জগতে মায়ের মতো এমন আপনজন আর কে আছেন? তাই প্রতি বছর এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় প্রিয় মমতাময়ী মায়ের মর্যাদার কথা। মাকে ভালোবাসা আর তার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধার বিষয়টি পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতেও অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বিশ্ব মা দিবসের ইতিহাস অনেক বছরের পুরনো। মধ্যযুগে এক চর্চা চালু হয়েছিল যে, যারা কাজের জন্য যেখানে বড় হয়েছেন, সেখান থেকে চলে গিয়েছেন, তারা আবার তাদের বাড়িতে বা মায়ের কাছে ও ছোটবেলার চার্চে ফেরত আসবেন। সেটা হবে খ্রিস্টান ধর্মের উৎসব লেন্টের চতুর্থ রোববারে।

সে সময় ১০ বছর বয়স হতেই কাজের জন্য বাড়ির বাইরে চলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। তাই, এটা ছিল সবাই মিলে পরিবারের সঙ্গে আবারও দেখা করার ও একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুযোগ।

এভাবে ব্রিটেনে এটা মায়ের রোববার হয়ে উঠে। কিন্তু, যেহেতু লেন্টের তারিখ পরিবর্তিত হয়, তাই এই রোববারও আর নির্দিষ্ট থাকে না।

আধুনিক যুগে মা দিবসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেখানে প্রতি বছরের মে মাসের ২য় রোববার পালিত হয় এ দিবসটি। যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে, তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছরই তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটিকে মা দিবস হিসেবে পালন করেন।

১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা।

এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।

১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এ দিনটাকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বেশিরভাগ জায়গায় মা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

রোববার মা দিবস। মা দিবসে মায়ের জন্য কিছু না কিছু করতে চান আমাদের দেশের সন্তানরাও। মাকে উপহার দেওয়ার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ করেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফিড ভরে যায় মা ও সন্তানের ভালবাসাময় ছবি ও স্মৃতিচারণে।

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram