বিদ্যুতের মূল্য হার সমন্বয় করতে চায় দেশের দুই বিতরণ কোম্পানি। নিজেদের লোকসান কমাতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম সমন্বয় চায় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। এই প্রতিষ্ঠান দুটি অন্য বিতরণ কোম্পানির তুলনায় ৩৩ কেভিতে থাকা বেশি দর কমিয়ে বিদ্যুতের দাম তাদের সমান করার আবেদন করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে সম্প্রতি এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করে তারা। বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহিদ সারওয়ার গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, আমরা বিইআরসির কাছে পাঠানো চিঠিতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার কথা বলেছি। রংপুর অঞ্চলের বিতরণ কোম্পানি নেসকো আমাদের মতোই। কিন্তু নেসকো ও আমাদের বাল্ক রেটের মধ্যে পার্থক্য আছে। এতে আমাদের ওপর চাপ তৈরি হয়। আমরা এই গ্যাপ কাভার করতে পারি না। এই গ্যাপ কমানোর জন্যই আমরা বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করতে বলেছি। ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম আহমেদ বলেন, আমরা যা বাল্ক রেটে কিনি তার চেয়ে দশমিক শূন্য দুই আট পয়সা ডিপিডিসির চেয়ে কমে আমাদের রেট। এতে বছরে আমাদের ২০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়। আমরা এই ব্যবধান সমান করে দেওয়ার জন্য বিইআরসি কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। আর আমরা যে বাল্ক রেটে বিদ্যুৎ ক্রয় করি তার চেয়ে আমাদের বিক্রি মূল্য কম। ঢাকা শহরের উত্তরাংশে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডেসকো, ঢাকার দক্ষিণাংশের বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসির সমান করতে আর খুলনা, বরিশাল অঞ্চলের বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওজোপাডিকো, রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের বিতরণ কোম্পানি নেসকোর সমান বিল করার আবেদন করেছে। চিঠিতে তারা বলেছে, তাদের গ্রাহকদের যে ধরন ও স্তর একই ধরন ওই কোম্পানি দুটির। তাই পাইকারি বিদ্যুতের দর একই সমান হওয়া উচিত। ৩৩ কেভিতে ডিপিডিসির তুলনায় ইউনিট প্রতি প্রায় ৩ পয়সা হারে বাড়তি বিল দিচ্ছে ডেসকো। ডিপিডিসি ইউনিট প্রতি বিল দিচ্ছে ৮.৫৬০০ টাকা হারে। একই স্তরে ডেসকোকে পরিশোধ করতে হচ্ছে ৮.৫৮৮০ দরে। অন্যদিকে নেসকোর তুলনায় ৪১ পয়সা হারে বেশি বিল দিতে হচ্ছে ওজোপাডিকোকে। নেসকো ইউনিট প্রতি ৭.০৪ টাকা হারে বিল দিলেও ওজোপাডিকোকে দিতে হচ্ছে ৭.৪৬ টাকা।