ঢাকা
১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ১১:০৪
logo
প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪

১৩ লাখের নতুন সেতু ভেঙে দেড় কোটির কালভার্ট বানাবে সওজ

ভেঙে যাওয়া সেতু সরিয়ে মাত্র ৫ মাস আগে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ খালের ওপর নতুন সেতু নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এখনো নতুন পলিথিনে মোড়ানো সেতুটির অডিটও শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন এই সেতু ভেঙে সেখানে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের এ ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

জানা গেছে, জিকে সেচ খালের ওপর মাত্র ৫ মাস আগে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে পাউবো। কিন্তু একই স্থানে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সওজ। কালভার্ট নির্মাণে করতে সদ্য নির্মিত সেতুটি ভেঙে ফেলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দুই বিভাগের সমন্বয়ের অভাবে সরকারের লোকসান হচ্ছে দেড় কোটি টাকার বেশি।

ওই গ্রামের পলাশ মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, ‘পাউবোর সেতুটি নির্মাণের সময়ও করা হয়েছে অনিয়ম। সড়ক অনুযায়ী সেতু না করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি যখন নির্মাণ করা হয় তখন তারা বলেছিল কয়েকদিন পর আবারো এখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। আমারা নিষেধ করার পরেও তারা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করেছেন।

আব্দুল জাব্বার নামের এক বাসিন্দা বলেন,‘সরকারের কত টাকা হয়েছে যে ৫ মাসের মাথায় নতুন সেতু ভেঙ্গে আবারো সেতু নির্মাণ করবে। নতুন সেতুই যদি করবে তাহলে এই সেতুটি নির্মাণ করার করার দরকার ছিলো না। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমন্বয় করলে সরকারের এই বাড়তি টাকা গচ্চা যেতো না।’

ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘জিকে সেচ খাল যেহেতু আমাদের আওতাধীন তাই আমরা সেতুটি নির্মাণ করেছি। অনেকদিন আগে সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি হচ্ছিল।

সেই ভোগান্তি দূর করতেই আমরা সেতুটি নির্মাণ করেছি। সড়ক ও জনপথ যদি ওই স্থানে সেতু নির্মাণ করে তাহলে আমাদের কাছ থেকে এনওসি নিয়ে করতে হবে। কিন্তু তারা এনওসি না নিয়েই এস্টিমেট করেছে। আগামীতে সওজ বা এলজিইডি যদি জিকে সেচ খালের ওপর সেতু নির্মাণ করে আমাদের সঙ্গে আগে থেকে যোগাযোগ করলে এই ভুল বোঝাবুঝি হবে না। এ ব্যাপারে আমরাও সচেষ্ট থাকব।’

এ ব্যাপারে জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন,‘সেতুটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকার সময়ে করা। সেতুটি যখন নির্মাণ করা হয় সে সময় আমাদের আগের নির্বাহী প্রকৌশলী দুই দফা চিঠিও দিয়েছিলো কিন্তু তাদের মাঝে সমন্বয় হয়নি। এই সেতুটি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য অনুপযোগী। তাই এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এতে করে ওই এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।’

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram