আব্দুর রব, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: বড়লেখার বিজিবি লাতু বিওপির আওতাধীন কুমারসাইল সীমান্ত দিয়ে সোমবার ভোরবেলা শিশু ও নারীসহ ১২ জন রোহিঙ্গা মুসলমান এবং ৪ জন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সীমান্তের জিরো লাইনে নিয়ে বিএসএফ এদেরকে জোর করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে। সকাল ন’টার দিকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিজিবি তাদেরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বিজিবি সূত্র জানায়, পরিচয় সনাক্তের পর এদেরকে থানায় সোপর্দ করা হবে।
বড়লেখা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে গত ২ মাসে বিএসএফ পাঁচ শতাধিক অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাকে পুশইন করেছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, সোমবার সকাল ন’টার দিকে সীমান্তবর্তী কুমারসাইল গ্রামের লোকজন জানান, তাদের গ্রামে ক্লান্ত, বিমর্ষ ও বিপর্যস্ত চেহারায় বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ ও শিশু ঘুরাফেরা করছে। কথাবার্তায় কয়েকজনকে রোহিঙ্গা মুসলমান মনে হওয়ায় লোকজন তাদেরকে আটক করে তাকে (ইউপি চেয়ারম্যান) ও স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে লাতু ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় সনাক্তের পর তাদেরকে থানায় সোপর্দ করবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এ ব্যাপারে জানতে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান সোমবার বিকেল পাঁচটায় জানান, শুনেছেন বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ জন রোহিঙ্গা ও ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবি আটক করেছে। বিজিবি এখনও তাদেরকে থানায় সোপর্দ করেনি। থানায় সোপর্দ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।