ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, আমরা ঠিক জানি তথাকথিত 'সর্বোচ্চ নেতা' কোথায় লুকিয়ে আছেন।
“তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ- আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) আনবো না, অন্তত এখনই নয়,” যোগ করেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, “কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।”
এর আগে আরেক পোস্টে তিনি বলেন, “ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে।”
এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, "আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!" (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অর্থাৎ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “আরও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন”।
সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলছেন, ইরান বেসামরিক কাজে ব্যবহারের চেয়ে বেশি মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে।
ট্রাম্পের প্র্রশংসা করে তিনি বলেছেন, অস্ত্র বিস্তার রোধের বাধ্যবাধকতা ইরান যেভাবে লঙ্ঘন করেছে তার পক্ষে একটিও যুক্তি নেই।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ট্রাম্প আমেরিকার সামরিক বাহিনীকে শুধু আমেরিকান জনগণের লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহার করতে আগ্রহী।
অপরদিকে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সাম্প্রতিক আক্রমণের বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছ, তাদের শক্তিশালী ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল ভেঙে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটিকে "ইরানের কর্তৃত্বের বার্তা পাঠিয়েছে"।
ইরানি সংবাদ সংস্থাগুলোতে প্রচারিত আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই আক্রমণ প্রকাশ করে আমরা অধিকৃত অঞ্চলের আকাশের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছি এবং এর বাসিন্দারা ইরানি আক্রমণের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অরক্ষিত।’
এদিকে ইসরায়েলি মিডিয়া অনুযায়ী, সর্বশেষ হামলা তেল আবিবের উপর বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একটি পার্কিং লটে আগুন ধরে যায়। কৌশলগত স্থানে প্রভাব সম্পর্কে তথ্য সেন্সর করার কারণে ইসরায়েলের অন্য কোনো স্থানে আঘাত করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।