কক্সবাজারের টেকনাফ ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। ওই যুবকের নাম মো. আলমগীর (১৯)। সোমবার টেকনাফ মৌচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. কাউছার সিকদার।
নিহত আলমগীর টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের ডি ব্লকের মৃত মো. হারেছের ছেলে।
জানা যায়, ডি ব্লকের মো. আলমগীরের সঙ্গে সি ব্লকের রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আলমের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুল আলম তাঁর হাতে থাকা ওয়ান শুটারগান দিয়ে আলমগীরের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলমগীরকে স্থানীয় জিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহটি টেকনাফ মডেল থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, শিবিরসংলগ্ন পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আস্তানা গড়ে তুলেছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র রয়েছে। তারা শিবিরের বাসিন্দাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. কাউছার সিকদার বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে মৌচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে আলমগীরের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।