অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: মালিককে জেলে ভরে দিতে পারি বলা ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ সোমবার জেলা প্রশাসন থেকে ওই তদন্ত কাজ শুরু করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে এ ঘটনার তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীনকে।
তিনি আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য আসেন। দের ঘন্টাব্যাপী ওই তদন্তে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহসিন উদ্দীন বলেন, বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে ‘প্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি’-শীর্ষক এমন প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাকে বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন।
সরেজমিন প্রত্যক্ষদর্শীদের লিখিত সাক্ষ্য নিয়েছেন তদন্তকারী দল। তদন্তকারী দলের প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহসিন উদ্দীন জানান, তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে (সোমবার) ‘অবহিত না করে’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিয়ে তর্কের জেরে বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এ এইচ এম শহীদুল হকের (এমরান হাসান সোহেল) সঙ্গে ইউএনওর অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই দিন বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুদকের পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিদ্যালয়ে এসেই ক্ষুব্ধ হন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। এ নিয়ে শহীদুল হকের সঙ্গে ইউএনওর অনেক সময় ধরে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষেপে গিয়ে ইউএনওকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’ এসংক্রান্ত ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে এ ঘটনার তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীনকে।