ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, ৫ আগস্টের পরে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, এই বাংলাদেশ কিন্তু নতুন বাংলাদেশ এবং পজেটিভ বাংলাদেশ। ফলেই আমরা এ বিপ্লবকে অভিনন্দন জানাতে পারি।
তিনি মঙ্গলবার (২৭ মে) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে উপজেলা পরিষদের মিলনায়ত প্রাঙ্গনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার কাছে প্রস্তাব এসেছে, ফটিকছড়ির মতো বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় একটি উপজেলাকে ভেঙে দেয়ার, তাই আমি ঘুরে দেখেছি, বিভিন্নজনের দাবী শুনেছি, নির্বাহী অফিসার ৬টি দাবী করেছেন, এর মধ্যে কমপক্ষে ৪টি দাবী একেই বারে পূরণ হয়ে যাবে, যদি উপজেলাটা ভেঙে দুটি হয়ে যায়, আমি দুই এক দিনের মধ্যে এটির প্রস্তাব পাঠিয়ে দেবে। বিষয়টি নিয়ে আমি ক্যাবিনেট বলবো।
এক মাদ্রাসা শিক্ষকের আইসিটি শিক্ষকের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি ড. জিয়াউদ্দীন বলেন, “মাদ্রাসায় আইসিটি শিক্ষকের দাবিটি যৌক্তিক। তবে যেদিন আমরা শুনব কওমি এবং আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানে সেরা, সেদিন কিন্তু গোড়া বিশ্বকে পরিচালনা করবো, জ্ঞান দিয়ে।
ফটিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।
এর আগে সকালে বিভাগীয় কমিশনার উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার ডিজিটাল সেন্টার ও ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তিনি নারায়ণহাট ডিগ্রি কলেজের একটি সভায় যোগ দেন। দুপুরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং নবনির্মিত উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, মিলনায়তন ও ওয়াকওয়ে উদ্বোধন করেন।
এই সফরে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫ জনকে আর্থিক অনুদান, চা-শ্রমিকদের মধ্যে নবনির্মিত ঘর হস্তান্তর এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন। এছাড়া ফটিকছড়ি পৌরসভা ও নাজিরহাট পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শন শেষে ড. মো. জিয়াউদ্দীন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফটিকছড়ি ত্যাগ করেন।