বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুটি ছাত্রাবাস ও গ্রন্থাগারের নাম বদলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে তারা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম বদলে ফেলায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ করেন তারা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলের নিবাসী শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করে কে বা কারা নাম পরিবর্তন করেছে। ওই হলের শিক্ষার্থীরা ৩টি নাম প্রস্তাব করেছিলেন। নামগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতামত জরিপ হলেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা। এর আগেই হুট করে একটি পক্ষ নাম বদলে ফেলেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো হলের নাম বদলানো হয়নি। তবে শিক্ষার্থীরা দুটি ছাত্রাবাস ও গ্রন্থাগারের নাম বদলে নতুন ব্যানার দিয়েছে। তবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিমতকে কেন্দ্র করে ওই হলের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মহোদয়ের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। সেখানে প্রক্টর রয়েছেন। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করেছি শান্ত থাকার জন্য। তাদের প্রস্তাবনা আমরা গ্রহণ করেছি। সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে ২ ডিসেম্বর হলের নাম পরিবর্তন বিষয়ক কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।