এম.সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে ভরা সরিষার মাঠ দেখে কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি। ভোজ্যতেলের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষের দিকে ঝুকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে কৃষকরা বারী সরিষা-১৪ বীজ ২৭৯০ হেক্টর, বারী সরিষা-১৫ বীজ ২৫০ হেক্টর, বারী সরিষা-১৭ বীজ ৪৯০ হেক্টর, বারী সরিষা-১৮ বীজ ২৫ হেক্টর, বারী সরিষা-৯ বীজ ১৪৫ হেক্টর, বিনা সরিষা-৯ বীজ ২৫ হেক্টর ও বিএডিসি-১ বীজ ০৫ হেক্টর জমিতে বপন করেছেন। সরিষার ক্ষেতে এখন হলুদ ফুল ফুটেছে। ক্ষেত থেকে ভেসে আসা হলুদ ফুলের মিষ্টি গন্ধে চারিদিক মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
উপজেলার হাসানপুর গ্রামের কৃষক ইউনুছার রহমান হেফজুলসহ অন্যান্য কৃষকরা জানান, রোপা আমন ধান কাটার পর একই জমিতে চলতি রবি মৌসুমে আগাছা পরিষ্কার করে সামান্য হালচাষ করেই সরিষার বীজ বপন করা হয়। এক থেকে দুই বার পানি সেচ দিলে সরিষা পেকে যায়। মাত্র ৮০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে পাকা সরিষা কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন। এরপর আবারো একই জমি চাষ করে মাঘ মাসের শেষের দিকে ইরি বোরো ধান রোপণ করতে কোনো অসুবিধা হবে না। ফলে সরিষার মত অতি স্বল্প সময়ের ফসলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, চলতি রবি মৌসুমে ৩ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ জন কৃষককে। অনুকূল আবহাওয়া ও নিবির পরিচর্যার কারণে মহাদেবপুর উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।