চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: শোষণ-বৈষম্যহীন কৃষি ব্যবস্থা, সেচের পানি বিতরণ ও অপারেটর নিয়োগে অনিয়ম-হয়রানি বন্ধের দাবিতে কৃষক সমিতির কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আজ রোববার দুপুরে শহরের পৌরপার্কে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কৃষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব আহসান মুন্না, জেলা কমিটির সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসেন আলী, সিপিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড মো: ইসরাইল সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো: কামাল উদ্দিন, কৃষক সমিতি জেলা কমিটির সহসভাপতি ও সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠনক এ্যাড. আবু হাসিব, জেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক শারিফুল ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন পাল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সারাদেশে এক নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়। কৃষকরা দীর্ঘদিনের শোষণ-বৈষম্য থেকে মুক্ত হওয়ার নতুন স্বপ্ন দেখতে থাকে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কৃষকের জন্য শোষণ-বৈষম্যহীন কৃষি ব্যবস্থার কোনো কৃষিবান্ধব উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরেন্দ্র অঞ্চলসহ সারাদেশের প্রাকৃতজন গরিব প্রান্তিক কৃষক জনগোষ্ঠীর শ্রমে আর ঘামে ফসল উৎপাদন আর জীবন-জীবিকা এক চরম সংকট আর অনিশ্চয়তার পথে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-প্রকৃতির কারণে শুষ্ক মৌসুমে মাটির আর্দ্রতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। উঁচু বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রুক্ষ এবং চরমভাবাপন্ন। এই অঞ্চলে বৃষ্টি কম হয়। মৌসুমভিত্তিক হলেও বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে না পারায় এবং পানির সুষম বণ্টন না হওয়ায় আমন ধান লাগানো যায় না, ফলে অধিকাংশ সময়ে আমন ধানের চাষ দেরি হওয়ায় পরবর্তী ফসল চাষের সুযোগ বিঘ্নিত হয়। এ সমস্যার কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধান কাটার পরে রবি মৌসুমে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। অসম বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধানের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায় খরা আক্রান্ত হয় যা ফলনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকেরা। কৃষিবান্ধব ব্যবস্থার দাবিতে লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।