গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দেশ ছাড়ার খবরে দলটির মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীরাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে চলে যান। যাদের একজন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তার।
তবে আত্মগোপনে থাকলেও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ঋতুপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন ফেরদৌস। প্রথমে বিষয়টি শুধুমাত্র অনুমান করা হলেও সম্প্রতি ঋতুপর্ণার এক স্ট্যাটাসে স্পষ্ট হয়েছে যে ফেরদৌস ঋতুপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কলকাতার প্রিয় সহশিল্পী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে সম্প্রতি একটি কবিতা লিখে পাঠিয়েছেন ফেরদৌস।
গত ৭ জুন ছিল ফেরদৌসের জন্মদিন। দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের শিল্পী-মহলে কোনো বিশেষ সাড়া না থাকলেও ঋতুপর্ণা সামাজিক মাধ্যমে ফেরদৌসের লেখা কবিতার স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, “আমার প্রিয় বন্ধু এবং পরিবারের সদস্য ফেরদৌসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এই সুন্দর উপহারের জন্য (তোমার লেখা কবিতা) ধন্যবাদ।
‘পুরাতন’-এর সাফল্যের জন্য তোমার এই কবিতা আমার অনেক মূল্যবান। স্ক্রিনিংয়ের সময় তোমাকে ভীষণ মিস করেছি। আশা করি শিগগিরই দেখা হবে এবং আবার একসঙ্গে কাজ করব।”
কবিতাটি ফেরদৌস লিখেছেন ঋতুপর্নার সিনেমা ‘পুরাতন’-এর সাফল্য কামনায়। পুরাতনকে কেন্দ্র করেই লেখা গোটা কবিতা।
তাই ধারনা করা হচ্ছে, এটি সাম্প্রতিক সময়েই লেখা। পুরাতন মুক্তি পেয়েছে এপ্রিল মাসে। তার মানে সাম্প্রতিক সময়েই ঋতুপর্নার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ফেরদৌস। তবে অভিনেতা কোথায় আছেন সেই বিষয়ে এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই লাপাত্তা ফেরদৌস। এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি নায়কের। মাঝে গুঞ্জন শোনা যায় যে কলকাতায় ঋতুপর্ণার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন ফেরদৌস। তবে ঋতুপর্ণা বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তিনিও ফেরদৌসকে নিয়ে চিন্তিত। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে ফেরদৌসের চিঠি পোস্ট করে ঋতুপর্ণা প্রমাণ করলেন যে হাজার প্রতিকুলতার মাঝেও ফেরদৌস তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং দুজনের বন্ধুত্ব আজও অটুট রয়েছে।