মুম্বাই পুলিশ সন্দেহ করছে যে, সাইফ আলী খানের হামলাকারী কয়েক দিন আগে শাহরুখ খানের বাড়ির উপরে রেকি করেছিল। সাইফের ওপর হামলার পর, বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশের একটি দল শাহরুখ খানের বাসভবন ‘মান্নাত’ পরিদর্শন করেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
পুলিশের একটি সূত্র বলেন, “গত ১৪ জানুয়ারি শাহরুখ খানের আবাসিক ভবন মান্নাতের আশেপাশে সন্দেজনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে। মান্নাত সংলগ্ন রিট্রিট হাউজের পেছনের দিকে ৬-৮ ফুট দীর্ঘ লোহার সিঁড়ি ফেলে একজন ব্যক্তি নজরদারির চেষ্টা করেছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে, শাহরুখের বাড়ির উপরে যে নজরদারি করেছে সেই ব্যক্তি সাইফ আলী খানের হামলাকারী।”
শাহরুখের বাসভবন মান্নাতের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তাতে যে ব্যক্তিকে দেখা যায় তার উচ্চতা, গড়নের সঙ্গে মিল রয়েছে সাইফ আলী খানের বাড়ি থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজের ওই ব্যক্তির সঙ্গে।
পুলিশের সূত্রটি দাবি করেছে— একজন ব্যক্তি এসব কাজ করতে পারে না। লোহার যে সিঁড়ি মান্নাতের পাশে ব্যবহার করা হয়েছে সেটার ওজন অনেক। সুতরাং একজন মানুষের পক্ষে সেটা ওঠানামা করানো সম্ভব নয়। এ ঘটনার সঙ্গে অন্তত দুই-তিনজন জড়িত।
মান্নাতের উপরে নজরদারির ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি শাহরুখ। তবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। মান্নাতের পাশে ব্যবহৃত সিঁড়িটি চুরির কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সাইফ আলী খানের হামলাকারীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে সন্দেহজনক একজনকে আটক করেছে। হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ৩৫টি টিম কাজ করছে।
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। আজ সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। খুব শিগগির হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।