

[একান্ত আলাপ চারিতায় দ্যা বাংলাদেশ টুডে এর ঢাকাস্থ নিজস্ব প্রতিনিধি প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ফারুক ]
দ্যা বাংলাদেশ টুডে:
জনাব মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্তিতে আপনাকে শুভকামনা এবং মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি একজন তরুণ মুখ, বাঁশখালীর মানুষের মাঝে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছেন। প্রথমেই জানতে চাই—আপনার রাজনীতিতে আসার প্রেরণা কী?
মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা:
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"।
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিকে জনগণের সেবা করার একটি মাধ্যম হিসেবে দেখেছি। আমার মরহুম বাবা-ও পরিবারের সবাইই রাজনীতিক সচেতনতা, যুগ যুগ ধরে এই বাঁশখালিসহ, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম শহরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী দর্শনের নিরলস কর্মী হিসেবে আমৃত্যু সকল বয়সী ও পেশাজীবি মানুষের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীকারের সাথে সমগ্র জনপদের সার্বিক উন্নয়নের অংশীদার হতে আমাকে ও অনুপ্রাণিত করেছে।
আমি বিশ্বাস করি—বাঁশখালীর উন্নয়ন, শিক্ষিত যুবশক্তির ক্ষমতায়ন ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতিই নতুন বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম ।
দ্যা বাংলাদেশ টুডে:
বাঁশখালী একটি ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্রময় উপজেলা। আপনি যদি এমপি নির্বাচিত হন, জনগণের জন্য কি কি অগ্রাধিকারমূলক কাজ করবেন?

মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা:
আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ভৌগোলিক ভাবেই বাঁশখালি একটি উন্নয়নশীল জনপদ। আর তাই আমি বিশেষ ভাবে তিনটি বিষয়ে জোর দিতে চাই—
১. শিক্ষা ও কর্মসংস্থান: বাঁশখালীর তরুণরা মেধাবী, কিন্তু সুযোগের অভাবে পিছিয়ে আছে। আমি আইটি ট্রেনিং সেন্টার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে চাই।
২. পর্যটন ও অর্থনীতি: বাঁশখালীর সমুদ্রতট, পাহাড় ও জীববৈচিত্র্যকে ঘিরে ইকো-ট্যুরিজমের বিশাল সম্ভাবনা আছে। সঠিক পরিকল্পনায় এটি হাজারো মানুষের জীবিকার উৎস হতে পারে।
৩. পরিবেশ ও অবকাঠামো: বাঁশখালীর নদী ও উপকূলরক্ষা, সড়ক উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করব।
দ্যা বাংলাদেশ টুডে:
বিএনপির তরুণ প্রজন্মের রাজনীতি নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। আপনি কীভাবে দলীয় ভাবধারা ও নতুন প্রজন্মকে একত্র করতে চান?
মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা:
আমি মনে করি, বিএনপির মুল শক্তি হলো—গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণ ও তরুণ সমাজ।
আমরা চাই দলকে আধুনিক টেকনোলজিভিত্তিক কাঠামোয় রূপান্তর করতে, যেখানে তরুণরা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।
আমি বাঁশখালীতে একটি “যুব নাগরিক ফোরাম” গঠন করছি।যেখানে আমরা তরুণদের মতামত শুনবো, সামাজিক উদ্যোগ নিব এবং স্থানীয় সমস্যার সমাধান খুঁজবো।
দ্যা বাংলাদেশ টুডে:
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বাঁশখালী আসনে আপনি কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী:
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভয় ও নিরুৎসাহের রাজনীতি। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, কিন্তু ভয় পায় কথা বলতে।
আমি চাই মানুষ সাহসী হোক, ভোটের অধিকার ফিরে পাক। আমার বার্তা স্পষ্ট…
“বাঁশখালীর উন্নয়ন হবে সকল জনগণের হাতে"
দ্যা বাংলাদেশ টুডে:
সবশেষে, বাঁশখালীর ভোটারদের জন্য আপনার বার্তা কী?
মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী:
আমার একটাই কথা…
“আমাদের বাঁশখালী বদলাবে, যদি আমরা নিজেরাই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেই।”
আমি একজন তরুণ হিসেবে নতুন রাজনীতির, স্বচ্ছ নেতৃত্বের ও গণমানুষের আশার প্রতীক হতে চাই।
আমি অনুরোধ করব—"ভোট দিন বিএনপিকে, ভোট দিন পরিবর্তনের প্রতীকে"।
পরিশেষে…
এই বৈচিত্র্যময় জনপদ বাঁশখালির প্রতিটি গণমানুষের সাথে মিশে আমি যে বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছি এবং সর্বস্তরের জনগণের মুখে মুখে যেই বার্তা ভেসে আসছে--
“মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা – তরুণ নেতৃত্ব, নতুন আশা”।
সকলের প্রতি আমাদের প্রানপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমান আমাদের উপর আস্হা ও পবিত্র দায়িত্ব অর্পনের জন্য বাঁশখালির সকল জাতীয়তাবাদী কর্মী, সমর্থক ও সার্বজনীন সকলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা এবং ইনশাআল্লাহ অতীতের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে গনতান্ত্রিক ও বৃহত্তম দলকে এই চট্টগ্রাম -১৬ আসনে বিজয়ী করে যুগোপযোগী রাজনীতির একটি আদর্শিক সংসদীয় আসন হিসেবে সারাদেশে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করবে। সকলে দোয়া,ভালোবাসা ও মূল্যবান সুচিন্তিত ভোট দিয়ে ইনশাআল্লাহ প্রমানিত হবে…
“পরিবর্তনের সময় এসেছে,…বাঁশখালী প্রস্তুত।”

