

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিষয়ক সাংবাদিকতা ফেলোশীপ পেয়েছেন নাটোরের সিনিয়র সাংবাদিক অমর ডি কস্তা। বাংলাদেশের ৭ টি জেলা থেকে একজন করে মোট ৭ জন প্রথম সারির সাংবাদিক এই ফেলোশীপ অর্জন করেছে।
৩ মাস মেয়াদী এই ফেলোশীপে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেমন প্রান্তিক নারী, দলিত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, ট্রান্সজেন্ডার, আদিবাসী জনগোষ্ঠী নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো ও এসব জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের অধিকার যথাযথভাবে নিশ্চিতে সক্ষম কিনা তা গবেষণা করবে এবং প্রতিবেদন তৈরি করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় ক্রিশ্চিয়ান এইড, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট (উই ক্যান) এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়নকৃত এক্সপেন্ডিং সিভিক স্পেস থ্রু একটিভ সিএসও পার্টিসিপেশন এন্ড স্ট্রেন্দেন্ড গভার্নেন্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে এই ফেলোশীপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, পাবনা, নাটোর, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলায় এই গবেষণা ও প্রতিবেদনের কাজ করবে স্ব স্ব জেলার জন্য ফেলোশীপ প্রাপ্ত সাংবাদিকরা। প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে চ্যালেঞ্জগুলো বস্তুনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করে তা প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরাই হচ্ছে এই ফেলোশীপের লক্ষ্য।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অমর ডি কস্তা জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় অথবা সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত এবং কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের কাছ থেকে ফেলোশীপের জন্য আবেদন চাওয়া হলে আমি আবেদন করি। এরপর বিভিন্নভাবে যাচাই বাছাইয়ের পর নির্বাচিত হই এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফেলোশীপ এগ্রিমেন্ট পেপারে স্বাক্ষর করি। এই ফেলোশীপের প্রতিবেদন বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা ও তাদের অধিকার সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তব চিত্র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপিত হবে।

