গুইমারা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার মধ্যরাতে জালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই চাঁদাবাজকে আটক করেছে সেনাসদস্যরা।
২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি জোনের ক্যাপ্টেন মো. শাইয়েন কাদিরের নেতৃত্বে সি-টাইপ টহল দল অভিযান চালায়। এ সময় নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ বইসহ মো. খলিলুর রহমান (৪৭) ও মো. আবু সায়েদ (৪৫) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তারা গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকার বাসিন্দা।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের নামে চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গুইমারা উপজেলার অন্তত পাঁচটি স্থানে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হতো। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে জালিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, কাসেম হোটেলের পাশে, জালিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে, গুইমারা বাজারের কাজী টাওয়ারের সামনে এবং হাতিমুড়া পুলিশ বক্সের সামনে।
একাধিক ট্রাকচালকের অভিযোগ, কাঠ, বাঁশ, ইট, বালুসহ মালবাহী যানবাহন থেকে দিনে-রাতে নিয়মিত চাঁদা তোলা হতো। চাঁদার পরিমাণ ছিল ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। চাঁদা না দিলে গাড়ি আটকে দেওয়া হতো।
এক ট্রাকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রতিদিন রাস্তায় চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি চলতে দেয় না। খাগড়াছড়ি থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত যেতে প্রতিটি গাড়ির অন্তত আট হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।”
অভিযান সম্পর্কে ক্যাপ্টেন মো.শাইয়েন কাদির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। আটক ব্যক্তিদের গুইমারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।গুইমারায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।