চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌ-পথে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার ডাকাত সদস্য বাবুল মিয়া দুই দিনের রিমান্ড শেষে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত ডাকাত বাবলুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল খেয়াঘাটের পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী এক যাত্রী বাদী হয়ে চিলমারী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশের একটি যৌথ দল। পরে আদালতে সোপর্দ করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিলমারী নৌ-পুলিশ।
গ্রেফতার বাবলু মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ধুবনী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্রহ্মপুত্রে নৌ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ব্রহ্মপুত্র নৌপথসহ ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ নৌপথে ডাকাতির ঘটনায় বাবলু মিয়া সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, ‘ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বাবলু। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধার কামারজানি এলাকা থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।’
আইসি আরও বলেন, ‘বাবলুর দলে ১৫ জন পেশাদার ডাকাত সদস্য রয়েছেন। তারা সবাই গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ এবং সাদুল্যাপুর এলাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। শুধু চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌ-পথ নয়, ফুলছড়ি-কামারজানি নৌ-পথেও এরা নিয়মিত ডাকাতি করছেন। বাবলুর সহযোগীদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।’