চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যার পর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল হতে শুরু করেছে। আজ সোমবার (৩০ জুন) থেকে পুরোদমে কার্যক্রম চলবে। কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে শনিবার থেকে রোববার সন্ধ্যার আগপর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সরকার রোববার (২৯ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানিয়ে সরকার বলেছে, কাজে যোগ না দিলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হবে। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা এই কর্মসূচির কারণে শনিবার থেকে ঢাকার এনবিআর ভবন থেকে শুরু করে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। অচল হয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দরে একদিনে রপ্তানি হয়নি সাড়ে তিন হাজার কনটেইনার। কর্মসূচি প্রত্যাহার হওয়ায় এখন ধীরে ধীরে বন্দরের কার্যক্রমও সচল হবে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে কাস্টমস স্টেশনে কাজ করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। জানতে চাইলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক এ এস এম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, কাস্টমস থেকে জানানোর পর বিষয়টি সদস্যদের কাছে জানানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয় কনটেইনার ডিপোগুলোয়। জানতে চাইলে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ডিপোতে কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন। কাজ শুরু করেছেন।