ঢাকা
২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৩:৫৭
logo
প্রকাশিত : জুন ২৬, ২০২৫

মাদক নিয়ন্ত্রণে ‘বাধা’ সীমান্ত, পটপরিবর্তনে নেতৃত্বে নতুন চক্র

বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ৩০টির। মিয়ানমারের সঙ্গে জুড়ে আছে তিনটি জেলা। রাঙ্গামাটি একমাত্র জেলা যার সঙ্গে ভারত-মিয়ানমার উভয়ের সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্তই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক বিস্তারের।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তথ্য বলছে, দেশের ২৯টি সীমান্তবর্তী জেলার ১৬২টি রুট দিয়ে দেশে দেদারছে প্রবেশ করছে মাদক। দেশের সীমান্তগুলো হয়ে উঠছে মাদকের অন্যতম রুট। এসব রুটের কারণেই মাদক নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে উঠছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্যনতুন কৌশলে ইয়াবা, আইস, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, টপেন্টাডল, কোকেনের মতো ভয়াবহ মাদক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।

ধনাঢ্যদের সন্তানদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলএসডি, আইসের মতো পশ্চিমা মাদকগুলো। একই সঙ্গে হেরোইন প্রবেশের শঙ্কা বাড়িয়েছে মিয়ানমারের পাহাড়ি অঞ্চলে পপি চাষ বৃদ্ধি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বড় গলায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও বাস্তবে তাদের প্রভাবশালী মহলই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে অনেকটা আড়ালে চলে যায় মাদকের সেই প্রভাবশালী মহল। কিন্তু ঠিকই অন্যপক্ষ এই কারবারের নেতৃত্বে চলে এসেছে। নেপথ্যে থেকে এই মহলকে ইন্ধন দিচ্ছেন পুরোনো সেই মহলের সদস্যরাই।

মাদকের কারণে অন্য অপরাধও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সত্যিকার জিরো টলারেন্স বলতে যা বোঝায়- রাষ্ট্রকে সেই উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ না করে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এগোতে হবে।- সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক

একাধিক সূত্র জানায়, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তপথের অনেক জায়গা অরক্ষিত থাকায় মাদক কারবারিদের অপতৎপরতা থামানো যাচ্ছে না। একই সঙ্গে দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন মাদকসেবীর সংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মাদক আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদক নির্মূলে রাষ্ট্র সমন্বিত উদ্যোগ না নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে এবং মাদক প্রতিরোধের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর কেউ কেউ নিজেরাই কারবারে জড়িয়ে পড়ছেন। আর এ কারণেই জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরেও মাদকের লাগাম টানা যাচ্ছে না। মাদকের বিস্তারের কারণে অন্য অপরাধও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সমন্বিত উদ্যোগ ও সত্যিকারের জিরো টলারেন্স বলতে যা বোঝায় রাষ্ট্র সেই পদেক্ষেপ না নিলে কখনোই মাদক নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

ইয়াবার চালান বেশি ১৮ সীমান্ত রুটে
ডিএনসির সূত্র বলছে, দেশে প্রায় দুই দশক ধরে শীর্ষে থাকা ইয়াবার চালান সবচেয়ে বেশি আসছে ১৮টি সীমান্ত রুট দিয়ে। এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালী, মনাখালী, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, রৌমারি চর, আমতলি, পালংখালী, মরিচ্যা, রেজুখাল, নাইক্ষ্যংছড়ির গর্জনবুনিয়া ও তুমব্রু অন্যতম।

এছাড়াও রাঙ্গামাটির রাঙ্গুনিয়ার রাজারহাট, পোমরা মালিরহাট ও চন্দ্রঘোনার খ্রিষ্টান পল্লি, খাগড়াছড়ির রামগড় এবং কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা দিয়েও প্রবেশ করছে ইয়াবা।

নিরাময় কেন্দ্রে মাদক কারবার, চলতো অনৈতিক কাজ
মূলত, মিয়ানমারের মংডু, নাইখোংদিয়া, সিতারগোলা, সিত্তে, আললে থান খেয় অঞ্চল থেকে আসছে ইয়াবা। ২০২০ সালের পর থেকে একই রুটে ঢুকছে ভয়াবহ মাদক আইস।

হেরোইনের রুট
কক্সবাজারের ইয়াবা রুট এবং রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত পথ দিয়ে ঢুকছে হেরোইন। মিয়ানমার ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে আসে হেরোইন। সম্প্রতি আফগানিস্তানে পপি চাষ কমে যাওয়ায় মিয়ানমারের পাহাড়ি অঞ্চলে পপি চাষ বেড়েছে। ফলে কক্সবাজারে হেরোইনের চালানও আগের চেয়ে বেশি।

সীমান্তবর্তী অনেক রুট দিয়েই মাদক প্রবেশ করছে। সেগুলো যাতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই জব্দ করা যায়- সে বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।- ডিএনসির পরিচালক (গোয়েন্দা ও অপারেশন্স) মো. বশির আহমেদ

ফেনসিডিল আসছে যেসব রুট দিয়ে
সূত্র বলছে, দিনাজপুরের, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে আসছে ফেনসিডিল। বিশেষ করে কোভিন ফসফেট মিশ্রিত ফেনসিডিল ভারতের চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, আসাম প্রদেশের ধুবরি ও সাউথ সালমারা মানকাচর জেলা দিয়ে প্রবেশ করছে।

গাঁজা আসছে দেশের যেসব এলাকা দিয়ে
গাঁজা প্রবেশ করছে প্রধানত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত পথ দিয়ে। ভারতের আসামের ধুবরি, করিমগঞ্জ, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, ত্রিপুরার আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে গাঁজা।

বিদেশি মদ
বিদেশি মদ ঢুকছে প্রধানত সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর সীমান্তপথ দিয়ে। এছাড়াও টাপেন্টাডল নামের ভয়ানক মাদক প্রবেশ করছে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ঢুকছে ভয়ঙ্কর এ মাদক।

প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ কারবারিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও কিছু অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। বিজিবি মাদক প্রতিহত করতে সব সময় তৎপর রয়েছে সীমান্তে।- বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম

ডিএনসির তথ্য বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সব সংস্থা মিলে ২০ কোটি ১১ লাখ ৫৮ হাজার ২২১ পিস ইয়াবা, ২ হাজার ১৯৩ কেজি হেরোইন, ১৫৩ কেজি কোকেন, ২২৩ কেজি আফিম, ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫২ কেজি গাঁজা, ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩৭ বোতল ও ৬৪৬ লিটার ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

আর চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৯ পিস ইয়াবা, ৬৩ কেজি হেরোইন, ১০ কেজি কোকেন, ৮০০ গ্রাম আফিম, ৩৫ হাজার ১২১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৭৫ হাজার ২২৭ পিস ও ৭৬ লিটার ফেনসিডিল, ৬৮ হাজার ৪৬৫ বোতল ও ৫ হাজার ১১৯ লিটার বিদেশি মদ, ৮ হাজার ৫২১ ক্যান ও ৫ হাজার ৩৫৪ বোতল বিয়ার জব্দ করা হয়েছে।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জুন পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শৃঙ্খল ভাঙার আহ্বান: সবার জন্য প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও নিরাময়’। ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় প্রতি বছরের ২৬ জুনকে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এর মূল লক্ষ্য মানব সম্প্রদায়কে মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা।

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ নয়। সব মাদক সীমান্তপথে অথবা আকাশপথে দেশে প্রবেশ করছে। এই জায়গাগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের কেউ কেউ সুযোগ দিচ্ছেন বলেই মাদক প্রবেশ করতে পারছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করলে যে কোনো ধরনের মাদক পাওয়া সম্ভব। মাদকের এই বিস্তার ও সহজলভ্যতাই বলে দেয় রাষ্ট্র ঘোষিত জিরো টলারেন্স উল্টো দিকে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাদকের কারণে অন্য অপরাধও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সত্যিকার জিরো টলারেন্স বলতে যা বোঝায়- রাষ্ট্রকে সেই উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ না করে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এগোতে হবে। ভূমিকা রাখতে হবে পরিবার ও সমাজকেও। তাহলেই মাদকের লাগাম টানা সম্ভব হবে। অন্যথায় বছরে একবার ঢাকঢোল পিটিয়ে একটা দিন মাদকের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করে কোনো লাভ হবে না।’

বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’ পালন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এক, মাদক; দুই, দুর্নীতি। তবে আগের চেয়ে মাদকের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের বেশি ধরা হচ্ছে। শুধু মাদক বহনকারীদের ধরা হয়। গডফাদারদের ধরা হচ্ছে না।

উপদেষ্টা বলেন, একসময় মাদকের সঙ্গে বদির (কক্সবাজারের এমপি আবদুর রহমান) নাম ছিল। এখন অনেক বদি জন্ম নিয়েছেন। তাদের ধরতে হবে। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা দরকার।

ডিএনসির পরিচালক (গোয়েন্দা ও অপারেশন্স) মো. বশির আহমেদ বলেন, ‘ডিএনসিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও কারবারিরা নিত্যনতুন কৌশলে কখনো শুকনো মরিচ, কখনো কাঁঠাল, আবার কখনো কুমড়ার ভেতরে করেও মাদক পাচার করছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারাদেশেই মাদকবিরোধী অভিযান তৎপর রয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূলে ডিএনসি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে, স্বল্প জনবল ও সরঞ্জাম ঘাটতিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ২০৫৫ জন জনবলের মধ্যে ১৬শ ফাংশনাল জনবল রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এছাড়াও সরঞ্জাম ঘাটতিও অনেক। ডিএনসির এমন জেলা কার্যালয় আছে সেখানে গাড়িই নেই। এসব সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে আমরা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসির গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক বশির আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী অনেক রুট দিয়েই মাদক প্রবেশ করছে। সেগুলো যাতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই জব্দ করা যায়- সে বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

বর্তমানে মাদক কারবারে নেতৃত্ব দিচ্ছে কারা? জানতে চাইলে মো. বশির আহমেদ বলেন, ‘এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে, যারাই নেতৃত্বে দিক সংশ্লিষ্টতা পেলে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সীমান্তে মাদক প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ২৪ ঘণ্টা তৎপর। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ কারবারিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবুও কিছু অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। বিজিবি মাদক প্রতিহত করতে সব সময় তৎপর রয়েছে সীমান্তে।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram