নাসির উদ্দীন বুলবুল, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীর মাজার বস্তি এলাকায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, আনিস (৪২), আবু সাইদ (৩৮), সোহেল (৩৪), ফাহিম (২১), ইয়াসিন (২০), আসাদ (২০), ইয়াসিন (১৮), হানিফ (২৫), শুভ (১৯), রানা (১৮), সজিব (২০), উজ্জ্বল রাজ (৩৭), আল-আমিন (৩৫), হাসান (২৪), সবুজ (২৮), লিটন (৩৬), ফেরদৌস (২৫), আলমগীর (৩৫), কাউসার (২৮) এবং বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যাদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সংঘর্ষে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির বর্তমান সভাপতি সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন এবং সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম কিরণের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইসরাত জাহান জানান, এই ঘটনায় ১৭ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে সোহেল (৩৪), আবু সাইদ (৩৩) ও আনিস (৪১) কে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিমকি অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাশেদুল ইসলাম কিরণ চুক্তি করে ঝুট ব্যবসা চালু করেন। এরপর গতকাল (১৭ জুন) টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সুমন সরকারের রেফারেন্সে ওমর ফারুকের নামে নতুন চুক্তি হয়। আজ সকালে ওমর ফারুকের লোকজন মাল নিতে এলে কিরণের পক্ষ বাধা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে যায় এবং বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের চুক্তি বৈধ, কিরণের লোকজন হামলা চালিয়ে আমাদের ৮-১০ জনকে মারধর করেছে ও ৬ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে।
অন্যদিকে রাশেদুল ইসলাম কিরণ দাবি করেন, আমার নামে বৈধ চুক্তি রয়েছে। সুমনের লোকজনই বাধা দিয়েছে এবং আমাদের ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছে। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
পিমকি অ্যাপারেলস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মাকসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে কোনো পক্ষকেই মাল দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি।
এদিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, যার নামে চুক্তি, সে-ই ব্যবসা করবে। ঝুট নিয়ে বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। সংঘর্ষের ঘটনা সত্য, তবে এখন পর্যন্ত মারধর বা ছিনতাইয়ের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।