মো. এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় হালদা নদীর পুরনো বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নাছির মোহাম্মদ ঘাট ও মালাকার পাড়া এলাকায় অন্তত ১০ হাজার পরিবার নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিলেও নানা জটিলতায় প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি। যার ফলে হালদা তীরের বাসিন্দারা বন্যা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মালাকার পাড়া এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন পূর্বে কাজ শুরু করে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে বালু উত্তোলন শুরু করলে নদীর অপর পাড়ের কতিপয় ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। যার ফলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই এলাকায় কাজ চালিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা মিতা চৌধুরী, কাজল দাশ, অপু বিশ্বাস, রুবেল দাশ, জয় কুমার দাশসহ একাদিক ব্যক্তি জানান, বর্ষার আগে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন মেরামত করা না হলে বন্যায় তলিয়ে যাবে পুরো গ্রাম।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন বলেন,কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে কাজে বাঁধা দিচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন অভয় দিলে কাজ শুরু করবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম অফিসের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষের বাঁধার কারনে বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
জানতে চায়লে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সুয়াবিল এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাঁধা দেয়ার বিষয়ে অবগত হয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে কাজটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।