এম মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: দুনীতি দমন কমিশন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গ্রাহক সেজে রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে চার দালালকে আটক করে। পরে তাদের রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই সাথে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদক ফরিদপুর কার্যালয়ের সদস্যরা গ্রাহক সেজে অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পায়। পরে তারা চারজন দালালকে আটক করে বিআরটিএ কার্যালয়ের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটক চার দালালের কাছেই মোটা অংকের নগদ টাকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে আশিক খানের কাছে ৩৩ হাজার একশ টাকা, আকরামুজ্জামানের কাছে ২৫ হাজার ৮০ টাকা, লিয়াকত আলীর কাছে ১৪ হাজার ৯৫০ টাকা পাওয়া যায়। মুনসুর আলী নামে অপর দালাল দ্রুত কাজ করিয়ে দিতে গ্রাহকদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, যেসব গ্রাহক ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএ অফিসে আসেন তাদের থেকে লিখিত, মৌখিক ও প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য এসব টাকা গ্রহণ করা হতো।
দুদক ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজ জানান, রাজবাড়ী বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে দালালদের উপস্থিতি ও তাদের কাছে আর্থিক অনিয়ম পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থের বিনিময়ে সেবা দিয়ে আসছিলো। তাদের টিমের সদস্যরা সেবা গ্রহীতা সেজে তাদের কাছ থেকে অনিয়ম পেয়ে চারজনকে আটক করে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা পাওয়া যায়। আাটক চারজনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আইনী ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিআরটিএর কাছে তাদের প্রয়েজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এসব কাগজ পত্র বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন দুদক ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।