মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বিরামপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি সচেতন মহলের।
বুধবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আল সিরাজের উপস্থিতিতে পঞ্চম শ্রেণীর প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ফাঁসকৃত ইংরেজি প্রশ্নপত্র এবং উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুলে সরবরাহকৃত ইংরেজি প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা। পরীক্ষা শুরুর ৩ ঘন্টা আগে পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা আশ্চর্যান্বিত হয়ে যায়। এ ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যেই শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ও অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চুড়ান্ত (মূল্যায়ন) পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়। এ কারণে প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ফাঁসকৃত পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রে জানা যায়, কোচিং সেন্টার থেকে এ ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে যে সমস্ত প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টারের সাথে শিক্ষক জড়িত। তাদের কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা যেন ভালো নাম্বার পায় এবং কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থী ধরে রাখার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়াও কোচিং সেন্টারে ও স্কুলের নাম উজ্জ্বল করার জন্য শিক্ষকগণ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
বিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এর সাথে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে বলেছেন।