মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত দুইদিন যাবৎ অবস্থান করছেন দুই সন্তানের জননী এক বিধবা নারী। গত ৫ মে থেকে বিয়ের দাবিতে ভুক্তভোগী ওই নারী রমিহা বেগম (৩৫) প্রেমিক সরোয়ারের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কিসমত শ্রীনগর গ্রামের গোলাম সরোয়ার (৪০) এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। সে ওই গ্রামের মোঃ শাহ আলম মল্লিকের ছেলে।
জানা যায়, মির্জাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী বরগুনা জেলার পূর্ব কেওরাবুনিয়া গ্রামের বাবুল হাওলাদারের সাথে বিয়ে হয় তার কয়েক বছর আগে। সেই ঘরে তাদের শিপন (৬) এবং রিপন (৩) নামে দুই শিশু পুত্র জন্ম রয়েছে। কিন্তু ৩ বছর আগে স্বামী মারা গেলে সন্তানদের নিয়ে বাবা বাড়ি দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চরখালী এলাকার একটি সরকারি ঘরে বসবাস করে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, দুই মাস আগে গাড়িতে বসে সরোয়ারের সাথে পরিচয় হলে সে আমার ফোন নম্বর নেন। তারপর থেকে সরোয়ার আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলতো। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে প্রায় সময়ই সে আমার ঘরে এসে রাত্রি যাপন করতো। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এখন আমি অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ে করবে বলে সে তার বাড়িতে আসতে বলেছে। কিন্তু আমি আসার পরে সে পালিয়ে যায়। দুইদিন ধরে তার বাড়িতে আছি। তার পরিবারের লোকজন আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। সমাজে এখন কী করে মুখ দেখাবো।
অভিযুক্তের পিতা শাহ আলম মল্লিক বলেন, ছেলে বিবাহ করলে আমার কোন সমস্যা নাই।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।