অতুল পাল, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজ বোঝাই ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টার সময় গণপিটুনির শিকার হয়ে একজন ডাকাত নিহত হয়েছেন। পুলিশের জিম্মায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ডাকাত নিহত হন। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ নিহত ডাকাতের নাম পরিচয় প্রকাশ করছেন না।
এদিকে ডাকাতদের হামলায় তরমুজের ট্রলারের চালক সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন-গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের কপালবেরা গ্রামের তরমুজ চাষী মো. শহিদুল ইসলাম(৫৮), ডাকুয়া গ্রামের নুর ইসলাম সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৪) ও ট্রলার চালক সেলিম মাঝি (৫৭)।
ওই ট্রলারে মোট ৯জন লোক ছিলেন। শনিবার ভোর ৫টার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুর দুইটার দিকে পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাতের মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।
বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল থেকে শহিদুল ইসলাম নামে এক চাষী ১০ হাজার পিস তরমুজ নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তেঁতুলিয়া নদীর বাউফলের তালতলি মোহনা এলাকা থেকে ৭/৮জন সশস্ত্র ডাকাতদল একটি দ্রুতগামীর ট্রলার নিয়ে তরমুজের ট্রলারটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায় ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে তরমুজ বোঝাই ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নেন ডাকাত দল। এসময় ডাকাতরা ট্রলার চালকসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে। তখন তরমুজের ট্রলারে থাকা লোকজন পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এসময় একজন ডাকাকতে ঝাপটে ধরে ফেলে ট্রলারের লোকজন। এঅবস্থায় বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ওই তরমুজের ট্রলার নোঙর কর হয়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। ট্রলারে আটকে থাকা ওই ডাকাতকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় ওই ডাকাত। খবর পেয়ে পুলিশ ভোর ৫টার দিকে গুরতর আহত ডাকাতসহ তরমুজের ট্রলারের লোকজনকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত ডাকাতকে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুর দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। তদন্তের জন্য নিহত ডাকাতের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।