তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: বালিজুরি আলিয়া মাদ্রাসার আসা ও বাড়ি যাওয়া পথে দুই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরেই উতক্ত করে আসছিল স্থানীয় কিছু যুবক। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঐ যুবকদের হামলায় গুরুত্ব আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে নজরুল ইসলাম (৩৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের পুরান বারুংকা মুচি বাড়ির সামনে গত সোমবার(২৮ এপ্রিল)বিকেলে।
আহত নজরুল ইসলাম ঐ দুই ছাত্রীদের সম্পর্কে চাচা ও একেই ইউনিয়নের পুরান বারুংকা গ্রামের বাসিন্দা।
এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো একেই ইউনিয়নের বালিজুরী নয়াহাটি গ্রামে মহিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫),মুজিবুর রহমানের ছেলে হিমেল (২২),আলমগীর এর ছেলে মারুফ মিয়া (২৬),জাহাঙ্গীর এর ছেলে তৌশিক মিয়া (২২) ও হাবিব মিয়ার ছেলে রকি (২৩)। তার নাম উল্লেখ কের তাহিরপুর থানার লিখত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাজিদ মিয়া।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, বালিজুরি আলিয়া মাদ্রাসাসহ স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই সময়ই আশ পাশের মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল অভিযুক্তরা। প্রতিদিনের মত দুই ছাত্রী মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে বখাটেরা গতিরোধ বন্ধ করে অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে এবং উতক্ত করে। ভুক্তভোগীদের চিৎকার শুনে নজরুল ইসলাম এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও এই যুবকরা মানুষকে সবসময় অত্যাচার-নির্যাতন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাজিদ মিয়া জানান, ঐসব যুবকদের অত্যাচারে ছেলে-মেয়েরা ঘর থেকে বের হতে সাহস পায় না। এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। এই সকল সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,ইভটিজারদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের কারো সাথেই কোনো ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন লিখিত অভিযোগ পেয়ে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।