

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা ও তার ভাইয়ের বাড়ি এবং কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার পহেলা মার্চ সকাল ৮ ঘটিকায় উপজেলার সাত গ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে (২ মার্চ) থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নোয়াগাঁও এলাকার তরবের ছেলে মুক্তার একই গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে মোহাম্মদ আলীর পুকুর পাড়ে শনিবার সকালে চার-পাঁচজন বখাটে যুবকদের নিয়ে মাদক সেবন করছিলেন। তা দেখে মোহাম্মদ আলী পুকুর পাড়ে গিয়ে তাদেরকে মাদক সেবনে বাধা প্রদান করেন। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ আলীকে মারধর করে আহত করে। মোহাম্মদ আলী এই ঘটনা তার চাচাতো ভাই সাতগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাকির মোল্লাকে জানান। বাকির মোল্লা এর প্রতিবাদ করলে ওইদিন বিকেলেই মুক্তার এবং আক্তারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০/৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে তার পাওয়ারলুম কারখানার গেইট ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পাওয়ারলুম এর কয়েকটি তানা কেটে ৩০ ব্যাগ সুতা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলীর প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে হয়েছে বলে তিনি জানান। এরপরে তারা সাতগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাকির মোল্লার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এই ঘটনায় মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ২ই মার্চ থানায় ২৩ জনকে নামীয় ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলার ২ নং আসামি আজিজুল এবং ২৩ নং আসামি রাসেলকে গ্ৰেফতার করে রোববার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

