অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া বন্দর ধান হাট ট্রাকস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ধান হাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছেন। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন হাওলাদার।
থানায় দেওয়া অভিযোগ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে ওই বাসস্ট্যান্ড কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. পল্টু খানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সরকার পতনের পর দাশপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমের অনুসারীরা ট্রাকস্ট্যান্ড দখলে নিয়ে যায়। গত ২ ডিসেম্বর জেলা ট্রাক, ট্যাংক, পিক-আপ শ্রমিক ইউনিয়ন বাউফল উপজেলা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আশরাফ আলী সরদারকে সভাপতি ও আরিফ হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে কালাইয়া বন্দর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব দিলে তারা স্ট্যান্ড পরিচালনা করতে শুরু করেন।
গতকাল শনিবার আলী আজমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির মীর, শ্রমিক দল নেতা সাহেব আলী, আবুল বশার, তাহের, ফারুকসহ অন্যান্যরা ট্যাক স্ট্যান্ড দখল করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আফজাল হোসেন, উজ্জল ও মোতালেব আহত হন।
এ বিষয়ে স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন জানান, বিএনপি নেতা আলী আজমের পক্ষে কোন কাগজপত্র নাই। তার লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে স্ট্যান্ড দখল করতে চান। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছি। প্রশাসনের কাছে দাবি, তারা বৈধ কাগজপত্র দেখে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে যেন সহায়তা করেন।
তবে স্ট্যান্ড জোর করে দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে দাশপাড়া বিএনপি সভাপতি আলী আজম চৌধুরী বলেন, অভিযোগকারী আরিফ বিএনপির কেউ না। বিগত দিনে সে যুবলীগ নেতার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করত। এখন সুকৌশলে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে আমাকে এবং দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমি বা আমার কোনো লোকজন জোর করে স্ট্যান্ড দখল করেনি। বৈধ কাগজপত্র দিয়ে স্ট্যান্ড পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
