ঢাকা
১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১:৪৮
logo
প্রকাশিত : জুন ১৮, ২০২৫

দেশে ফিরছেন তারেক, গুলশানে বাড়ি প্রস্তুত

‘দেশে ফিরছেন তারেক, গুলশানে বাড়ি প্রস্তুত’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই দেশে ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গুলশান-২-এর অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর ডুপ্লেক্স বাড়িতে তার থাকার সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই ছায়াঘেরা বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মালিকানাধীন, যা সম্প্রতি তারেক রহমানের নামে নামজারি করা হয়।

এই বাড়িটি এক সময় ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, তবে ছয় মাস আগে কোম্পানিটি তা ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে বাড়িটির অভ্যন্তর ও বাহ্যিক পরিবেশ তারেক রহমানের থাকার উপযোগী করে সাজানো হয়েছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাড়ির সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে এবং এটি এখন পুরোপুরি বসবাসযোগ্য।বাংলাদেশি পর্যটন স্থান

১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি গুলশানে তার বর্তমান বাসভবন ‘ফিরোজা’র পাশেই অবস্থিত। উল্লেখ্য, এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সেনানিবাসের ওই বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করে খালেদা জিয়াকে সেখানে থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এবং তার তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডনে ফেরার আগে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।

সরেজমিনে ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, সাদা রঙের দোতলা ছায়াঘেরা বাড়িটির বহিরাঙ্গন বেশ পরিপাটি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির ভেতরটাও অত্যন্ত নান্দিকভাবে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ির বাউন্ডারির ওপরের অংশ বাড়তি লোহার অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। জানা গেছে, আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এ ভবনে রয়েছে তিনটি শয়নকক্ষ, একটি বিশাল ড্রয়িং ও লিভিং রুম এবং একটি সুইমিং পুল।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। তখন থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মা খালেদা জিয়া দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ তারেক রহমান। এরপর সেখান থেকেই দল পরিচালনা করছেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে পাঁচ মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়। দায়ের করা হয় প্রায় শতাধিক মামলা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে একে একে সাজাপ্রাপ্ত সব মামলায় খালাস পান তিনি। একই প্রক্রিয়ায় অন্য সব মামলা থেকেও মুক্ত হন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই।

এমন অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতিক্ষায় রয়েছেন। তার ফেরা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহলও আছে। সবার প্রত্যাশা, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরছেন। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে যে, তিনি আগামী ৫ আগস্টের আগেই দেশে ফিরতে পারেন। দলীয় সূত্রগুলোও বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ৫ আগস্টের আগেই দেশে পা রাখতে পারেন বিএনপির এই ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি। তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট হলে তার দেশে ফেরার বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে আর কোনো আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই।

জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর প্লটে অবস্থিত খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়িটির কাগজপত্র তার হাতে তুলে দেওয়া হয় গত ৪ জুন। ওই দিন রাত ৯টার দিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বেগম জিয়ার হাতে এই কাগজ হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু। বেগম জিয়ার নামে বরাদ্দ হলেও এখন নামজারি করা হয়েছে তারেক রহমানের নামে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া সংসদে স্বাধীন এমপিরা’। খবরে বলা হয়, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, কিছু সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে করা এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এই বিষয়গুলো নিয়ে ঐকমত্য হয়। তবে প্রধান বিচারপতির নিয়োগপ্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা (এমপি) পূর্ণক্ষমতা পাবেন বা স্বাধীন থাকবেন। সরকারি হিসাব, অনুমিত হিসাব, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ অধিকার–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি—এই চারটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ আসনের সংখ্যানুপাতে বিরোধী দলের মধ্য থেকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলো সংসদে যে কটি আসন পাবে, তার অনুপাতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ পাবে।

গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আলোচনা শুরু হয়। এক ঘণ্টার মতো মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে আলোচনা চলে বিকেল প্রায় সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। আলোচনা শেষে এ দিনের সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ বুধবার বেলা ১১টায় দলগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু হবে।

যুগান্তর

‘স্বস্তির বাতাসে অস্বস্তি ছড়াচ্ছে কিছু চ্যালেঞ্জ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক রাজনীতিতে উত্তেজনা প্রশমিত করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা পুরোপুরি কাটেনি।

সংস্কার ও বিচার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হলেও এ সরকারের সময়ে বিগত ১০ মাসে যেভাবে কাজ হওয়া দরকার ছিল, সেভাবে গতি পায়নি। বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বোঝাপড়া হলেও জামায়াত ও এনসিপি কিছুটা দূরত্বে আছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়া ভোটের রাজনীতি নিয়ে তাদের নিজস্ব এজেন্ডাও রয়েছে।

এদিকে লন্ডন বৈঠকে বেশ স্বস্তির আভাস মিললেও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের আন্দোলন অস্বস্তি ছড়াচ্ছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের শায়েস্তা করতে বিতর্কিত অধ্যাদেশ নিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। সচিবালয়ে কর্মচারী আন্দোলনের এমন দৃশ্য অতীতে কেউ দেখেনি। এনবিআর অধ্যাদেশ বিতর্কও রয়ে গেছে সেই তিমিরে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘ধ্বংসযজ্ঞে অনড় ইরান-ইসরায়েল’। খবরে বলা হয়, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত গতকাল মঙ্গলবার টানা পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির পরও কোনো পক্ষেরই পিছু হটার লক্ষণ নেই। আকাশ, ভূমি ও সাইবারজগতে চলছে পূর্ণ মাত্রায় হামলা। তেহরান ও তেল আবিবে গতকাল মঙ্গলবারও পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে মোসাদের সদর দপ্তরে হামলার দাবি করেছে ইরান। অন্যদিকে ইরানের খামেনির ঘনিষ্ঠ আরো একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ ছাড়া তেহরানের বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব শহর ছাড়তে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে নতুন করে ইসরায়েলি হামলার খবরে দলে দলে তেহরান ছাড়ছে বাসিন্দারা।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে তেহরানে আতঙ্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অবিলম্বে তেহরান ফাঁকা’ করার হুঁশিয়ারিতে গতকাল সেখানকার নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এতে প্রায় এক কোটি মানুষ একসঙ্গে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তেহরান ছাড়তে শুরু করে। ফলে তেহরান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সড়কগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ জট তৈরি হয়।

সমকাল

‘বিএনপির কিছু ছাড়, জামায়াতের বয়কট, এনসিপির অভিযোগ’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্কারের জন্য ঐকমত্য গঠনের সংলাপে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাই বেশি হচ্ছে। ৭০ অনুচ্ছেদ, চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ কিছু কমিটির সভাপ‌তি পদ বিরোধী দলকে দেওয়া এবং প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ইস্যুতে বিএনপি কিছুটা ছাড় দিচ্ছে। তবে নারী আসনে নির্বাচন এবং সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে তারা আগের অবস্থানেই রয়েছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলো নারী আসন বাড়ানোর বিপক্ষেই।

অন্যান্য দলের মতামত না নিয়ে লন্ডনে সরকার ও বিএনপির বৈঠকে নির্বাচ‌নের সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধার‌ণের প্রতিবাদে সংলাপ বয়কট করেছে জামায়া‌তে ইসলামী। লন্ডন বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংলাপে যোগ দিলেও নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলেছে। তারা অভিযোগ করছে, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন বিএনপির দিকে হেলে পড়েছে।

তবে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর ২৯ দল ও জোটের সংলাপ শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, বুধবার (আজ) দলটি আলোচনায় ফিরবে। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ হচ্ছে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘চার শতাধিক সিনিয়র চিকিৎসক পদোন্নতিবঞ্চিত, আন্দোলনের হুমকি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসকদের পদোন্নতি নিয়ে সব সময় একটি বড় অংশ বঞ্চিত থাকে। দলবাজ, সুযোগসন্ধানী সুবিধাভোগী তদবিরবাজরা সিংহভাগ পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। বিগত সরকারের আমলে দলবাজ, লাইনবাজ ও তদবিরবাজ, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ পদোন্নতি পেয়েছেন। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতাসম্পন্ন সিনিয়র চিকিৎসক পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

একশ্রেণির চিকিৎসক মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে পদোন্নতি ভাগিয়ে নিয়েছেন, এমনি অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা। স্বনামধন্য সিনিয়র ৪ শতাধিক চিকিৎসক পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের অনেকের চাকরির বয়স মাত্র দেড় থেকে দুই বছর রয়েছে। এসব চিকিৎসক চরম বৈষম্যের শিকার।

চিকিৎসকরা জানান, গত করোনা মহামারিকালে জীবন বাজি রেখে বিরামহীনভাবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। বেশ কিছুসংখ্যক ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। জীবন বাজি রেখে করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা তারা দিয়ে গেছেন। বিগত সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু দিয়ে বেশির ভাগ প্রণোদনার টাকা তারা পাননি। ঐ সময় হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী ছাড়াও অন্যান্য সার্ভিসে কিংবা বিভিন্ন ক্যাডারের প্রায় সব প্রণোদনা পেয়েছেন। এ নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভরয়েছে।

বণিক বার্তা

‘আবেদন জমা পড়েছে হাজারের বেশি, চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি একটিও’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি নয়, এমন বড় ঋণ পুনর্গঠনে (পুনঃতফসিল) একটি বাছাই কমিটি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৩০ জানুয়ারি গঠন করা এ কমিটির কাছে হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু যাচাই-বাছাই শেষে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। এতে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বাড়ছে। অন্যদিকে খেলাপি হয়ে যাওয়া উদ্যোক্তাদের বিপর্যয়ও গভীর হচ্ছে।বাংলাদেশি পর্যটন স্থান

৫০ কোটি বা তার বেশি অংকের খেলাপি ঋণ পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে জানুয়ারিতে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নথিপত্রের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত কমিটির কাছে ১ হাজার ২৫৩টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে পর্যালোচনা শেষে আবেদন বাছাই করা হয়েছে ৫৬টি। ঋণদাতা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই) এসব আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার কথা। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনেরই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। কিছু ব্যাংক সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ঋণ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলেও অন্য ব্যাংকগুলো ঝুলিয়ে রেখেছে। গত সাড়ে চার মাসে বাছাই কমিটি ১৩টি সভা করেছে বলে জানা গেছে।

কমিটির সভায় আবেদন বাছাই হয়েছে এমন একজন আবেদনকারী ব্যবসায়ী নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অনেক দৌড়ঝাঁপের পর কমিটির সভায় আমার আবেদনটি বাছাই হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার ঋণ পুনর্গঠন হওয়ার কথা। দুটি ব্যাংক ঋণ পুনর্গঠনে এগিয়ে এলেও ঋণদাতা অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখনো সাড়া দেয়নি। এ কারণে কমিটির সভায় বাছাইয়ের পরও ঋণখেলাপির পরিচিতি থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছি না।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘বেকারত্বে বন্দি তরুণ প্রজন্ম’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ। কিন্তু তাদের একটি বিশাল অংশই সুনির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তবে এর মধ্যে একটি অংশ টিউশনি করে সুনির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছেন। সরকারি চাকরির সীমিত সুযোগ, বেসরকারি খাতে স্বল্প বেতন ও নিরাপত্তাহীনতা আর ব্যবসা শুরু করার জটিলতা- এই তিনটি প্রধান কারণে তরুণরা যেন এক ধরনের ‘বেকারত্বের ফাঁদে’ বন্দি হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। গত এক বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ। ২০২৩ সালে বেকারের সংখ্যা ছিল সাড়ে ২৫ লাখ। বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমেছে ১৭ লাখ ২০ হাজার।

২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজারে। একই সঙ্গে কমেছে যুব শ্রমশক্তিও। ২০২৩ সালে যা ছিল ২ কোটি ৬৭ লাখ, ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে ২ কোটি ২৬ লাখে। অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বেকারদের বড় অংশই শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের মধ্যে চাকরি পায় খুব অল্পই। তাও ভালো মজুরি পায় না। আমাদের বিশ্লেষণে, অনেক তরুণই বর্তমানে শিক্ষা ও কর্মে নেই। তাদের অনেকে হতাশায় ভুগছে।’বাংলাদেশি পর্যটন স্থান

আজকের পত্রিকা

‘৭০ অনুচ্ছেদ ও কমিটির সভাপতি নিয়ে মতৈক্য’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, কিছু সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য হয়েছে। অন্যদিকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতির মধ্য থেকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও তা নিয়ে পরবর্তী অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে মত এসেছে।

এই ছিল গতকাল মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি আলোচনার সারসংক্ষেপ । রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো—অর্থ বিল ও আস্থা ভোট ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা পূর্ণ ক্ষমতা পাবেন। সরকারি-হিসাব কমিটি, অনুমিত হিসাব কমিটি, সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি ও বিশেষা অধিকার-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি—এই চারটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি হবেন বিরোধী দল থেকে।

বিরোধী দলগুলো সংসদে যে কটি আসন পাবে, তারা অনুপাতে অন্য সংসদীয় কমিটিগুলোর সভাপতি পদ পাবে । গতকালের বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসন , দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে । অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নারীদের জন্য ১০০ আসন এবং দ্বিকক্ষের বিষয়ে একমত হলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত ছিল।

৭০ অনুচ্ছেদ ও কমিটির সভাপতি পরবর্তী বৈঠকে বিষয়গুলো নিষ্পত্তির আশা করা হচ্ছে। সংলাপের শুরুতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। গণসংহতি আন্দোলন এবং কয়েকটি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার মত দেয়।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram