মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ প্রতিষ্ঠা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়ার উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
শুক্রবার (১৬ মে) দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। তারা অবিলম্বে এসব আলোচনা, চুক্তি ও প্রস্তুতি বন্ধের দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাখাইন করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য জনমনে গভীর আতঙ্ক ও শঙ্কা তৈরি করেছে। এ ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সর্বসম্মত জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে।’
খেলাফত মজলিসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সরকার রাখাইনে তথাকথিত মানবিক করিডরের নামে বিদেশি শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় যে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে তা উদ্বেগজনক। সীমান্তঘেঁষা এই অঞ্চলে বিদেশি উপস্থিতি উপকূলীয় নিরাপত্তায় নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করবে।’
চট্টগ্রাম বন্দরসংক্রান্ত ইস্যুতে দলটি বলেছে, এনসিটির পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে তুলে দেওয়া হলে তা হবে দেশের স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ হারানোর নামান্তর এবং এটি এক ধরনের নতুন ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের দ্বার উন্মোচন করবে।
বিবৃতিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘রাখাইন করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যেকোনো আলোচনা বা চুক্তির আগে সব রাজনৈতিক দল ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে স্বচ্ছভাবে আলোচনা করতে হবে।’
দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে খেলাফত মজলিস জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।