বরেণ্য আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদকে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ (২১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এ সময় চঞ্চল মাহমুদকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী, পরিবার ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।
তারা বলেন, চঞ্চল মাহমুদ ছিলেন দেশের মডেল ও ফ্যাশন ফটোগ্রাফির পথিকৃৎদের একজন। ফটোগ্রাফিকে ঘিরে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থীকে।
জোহরের পর চঞ্চল মাহমুদের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর খ্যাতিমান এ মানুষটিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদ। শোবিজে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করতে আসা অনেকের ফটোসেশন হয়েছে তার হাত ধরেই। অনেকেই তার হাতের তোলা ছবি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় জমা দিয়ে হয়ে গেছেন মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রী। এ তালিকায় আছেন- অমর নায়ক সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর, পপি থেকে শুরু করে নোবেল, সাদিয়া ইসলাম মৌ, তানিয়া আহমেদ, সুইটি, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমিসহ অসংখ্য অভিনেতা ও মডেল। শুধু ছবি তুলেই নয়, চঞ্চল অনেকের জন্য সুপারিশ করেছেন শোবিজের নানামুখী কাজ পাওয়ার জন্য। সেই সুপারিশে অনেকে কাজ পেয়েছেন, অনেকেরই ভাগ্য বদলেছে। পেয়েছেন খ্যাতি-অর্থ ও প্রতিষ্ঠা।
অথচ এই রঙিন জীবনের আড়ালে থাকা মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন দীর্ঘদিন রোগে ভুগে, অনেকটা অবহেলায়। প্রায় ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।