ঢাকা
২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা ৬:৫৫
logo
প্রকাশিত : জুন ২১, ২০২৫

শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ, মার্কশিট প্রকাশ করে প্রমাণ দিলেন অভিনেত্রী

ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা রাজা গোস্বামীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। এ দম্পতির কেশব নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি ভ্লগিং করে থাকেন তারা। স্বাভাবিকভাবে, তাদের ভ্লগে দেখা যায় পুত্রকে।

এদিকে, নেটিজেনদের একাংশ মধুবনী-রাজাকে আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন, “ছেলে কেশবকে ভিডিওতে দেখিয়েই তো বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে আপনাদের।” আবার কেউ কেউ তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এবার একাডেমিক মার্কশিট প্রকাশ করে যোগ্যতার প্রমাণ দিলেন এই তারকা দম্পতি।

শুক্রবার (২০ জুন) মধুবনী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তার মাধ্যমিকের মার্কশিট। তার সঙ্গে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন। লেখার শুরুতে এই অভিনেত্রী বলেন, “তোমাদের মধুবনীদির মার্কশিট রইল তোমাদের জন্য। জানি, এই নম্বরগুলো এমন কিছু নয়। এর থেকেও অনেক বেশি নম্বর অনেকেই হয়তো পেয়েছেন। এই মার্কশিট আমার, আমার মেধা অনুযায়ী এই নম্বরগুলো পেয়েছি। লাস্ট কয়েকদিন ধরে, আমাদের পোস্টে বেশ কিছু মানুষ আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন! রাজা বোধহয় ওর একটা পোস্টে লিখেছিল, ও ‘বি. টেক ইঞ্জিনিয়ার’।”

ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছেন না মধুবনী। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “মার্কশিট হয়তো না দেখালেও চলত। কিন্তু কিছু কিছু সময় চুপ করে থাকতে নেই, চুপ করে থাকাটাকে কেউ কেউ আবার দুর্বলতা ভেবে নেয়। তাই মার্কশিট দেখিয়েই দিলাম। পড়াশোনাটা যখন করতাম, তখন মন দিয়েই করতাম। সিরিয়ালে অভিনয়টা যখন করেছি, তখনো মন দিয়েই করেছি, সেজন্যই টেলি সম্মান অ্যাওয়ার্ড, টেলি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি (ফাঁকা আওয়াজ মারছি না, ছবিগুলো নেক্সট পোস্টে আপলোড করে দেব)। যখন মা হলাম, তখন থেকে মা হওয়ার দায়িত্বটাও সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে চলেছি।”

সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্য করে মধুবনী বলেন, “নম্বরগুলো দেখে আশা করি, এটুকু বুঝতে পেরেছেন, অভিনয়টাই বা ভ্লগ করাটাই যে শুধু আমার দ্বারা হতো, এমনটা নয়! আমি চাইলে অন্য প্রফেশনে, অন্য অনেক কিছু করতে পারতাম বা এখনো পারি। কিন্তু করব না! কারণ আমার প্রয়োজন নেই। অভিনয়, ভ্লগিং করছি বলেই নিজেদের মতো করে অর্থ বের করে নেবেন না যে, আমরা মুর্খ, এই করেই খেতে হবে, অন্য আর কোনো উপায় নেই। সব উপায় আছে, করি না। কারণ আমরা ভালোবেসে এই প্রফেশনটাকে পছন্দ করেছি। অবশ্যই এই প্রফেশনও আমাদের পছন্দ করেছে। এ কথা খুব সত্য যে, ঈশ্বরের আশীর্বাদ না থাকলে আর্টিস্ট হওয়া বা এই ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজ করা সত্যিই সম্ভব নয়।”

কলকাতার মহাদেবী বিড়লা গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন মধুবনী। যখন ফাইনাল পরীক্ষা দেন তখন পাল্লা দিয়ে ধারাবাহিকের কাজও করেছেন। এ পরিস্থিতিতে মধুবনী তার ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ অর্থাৎ ইংরেজিতে পান ১০০ এর মধ্যে ৮৯ পান। বাংলায় পান ৮৮, অঙ্কে ৮৪, বিজ্ঞান বিভাগে ৮৭, সামাজ বিজ্ঞানে ৮৭।

এত ভালো নম্বর পেয়েও অভিনেত্রীর মনজুড়ে ছিল আফসোস। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে মধুবনী বলেন, “আমি বরাবরই ভালো ছাত্রী ছিলাম। আসলে সে সময় শুটিং সামলে এই রেজাল্ট করি। যদিও নম্বর নিয়ে খুব তৃপ্ত ছিলাম না। ইংরেজিতে ৮৯ পাই, ভেবেছিলাম অন্তত ৯০ পাব। কিন্তু ওই কিনারায় গিয়ে আটকে যাই।”

এত বছর পর মার্কশিট শেয়ার করার কারণ ব্যাখ্যা করে মধুবনী বলেন, “অনেকেই ভাবেন অভিনেত্রী মানে তিনি পড়াশোনা করেন না। কিছুই জানেন না, সেই কারণেই শেয়ার করলাম।”

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram