জাবেদ হোসাইন মামুন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে সিরিয়াল দিতে দেরি হওয়ায় গোলাম রসুল সুমন নামে এক চক্ষু চিকিৎসকের চেম্বারে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল উশৃংখল যুবক । ১৩জুন শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের গরীবের বন্ধু রফিক উদ্দিন ইন্তু মিয়ার বাড়িতে ওই চিকৎসকের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে শনিবার দুপুরে ওই চিকিৎসক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে চেম্বারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, চক্ষু চিকিৎসক সুমন প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়ির ওই চেম্বারে রোগী দেখছেন। এ সময় আড়কাইম গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী নুর হায়দার রোগীকে দীর্ঘক্ষন বসিয়ে রাখার অভিযোগ তুলে রোগী দেখা আবস্থায় চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে চিকিৎসকের সহকারি রুবেল একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেন। ইকবাল ও তার সহযোগিরা তর্কবির্তক থেকে এক পর্যায়ে চিকিৎসকের চেম্বারে জোরপূর্বক প্রবেশ করে চিকিৎসকের সাথে অশালীণ আচরণ করেন। ফুটবল মাঠে থাকা ২০-২৫জন উশৃংখল যুবককে মুঠোফোনে ডেকে আনেন যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন। এসময় তারা বাড়ির দরজা, জানালা, সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর, সিলিং ফ্যান, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ঘরে থাকা চিকিৎসকের বড় বোন বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিবি মরিয়ম কে মারধর করে শ্লীলতাহানি করে তার মেয়ের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এছাড়াও চিকৎসক সুমনের সহকারি রুবেল, তার ভাই গোলাম কাদের, গোলাম বাতেন, ভাগ্নে ফাহিম উল হক চৌধুরী ও আতিফ আবরারকে মারধর করেন। এসময় উপস্থিত রোগীরা ভয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি করেন। ঘটনার সময় পাশে অবস্থান করা বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা হাবিব উল্লাহ পারভেজ ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারিদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। ক্ষতিগ্রস্তের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য; চক্ষু চিকিৎসক সুমন মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানির একান্ত সহচর গরীবের বন্ধু রফিক উদ্দিন ইন্তু মিয়ার নাতি। ২০১০ সাল থেকে ওই চেম্বারে রোগীদের চক্ষু চিকিৎসা করে আসছেন।